জার্মান বুন্দেস লিগায় অলিভার কানের করা ১৯৬টি ক্লিনশীটের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় গেলেন ফিফা বর্ষসেরা গোলকিপার। শনিবার রাতে সাবেক ক্লাব শালকের বিরুদ্ধে বায়ার্ন মিউনিখের ৪-০ গোলের জয়ের ম্যাচে এই অনন্য রেকর্ড গড়েন জার্মান গোলরক্ষক। বুন্দেস লীগায় অলিভার কানের ১৯৬টি ক্লিনশীট রাখতে ম্যাচ খেলতে হয়েছিল ৫৫৭টি। আর ম্যানুয়েল ন্যয়ার এই রেকর্ড ভাঙ্গেন মাত্র ৪২৩ ম্যাচে।
শালকে যুবদলের হয়ে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু করলেও ২০০৬-০৭ মৌসুমে প্রথমবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামেন ম্যানুয়েল ন্যয়ার। মৌসুমের একেবারে শুরুতে নিয়মিত গোলকিপার ফ্রাংক পোস্ট ইঞ্জুরিতে পড়লে শালকের সিনিয়র ক্যারিয়ারের দরজা খুলে যায় ২০ বছর বয়সী ন্যয়ারের। শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে সমর্থকদের হতাশ করেননি ন্যয়ার। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২ গোল হজম করলেও ৮টি সেভ দিয়ে মিডিয়াপাড়ায় সাড়া ফেলে দেন। সেবার শালকের হয়ে ক্লিনশীট রাখেন ২৭ ম্যাচে ১৩টি। তারপর শালকের হয়ে খেলেন আরও ৪ বছর। এই ৪ বছরে জার্মান কিংবদন্তীর ক্লিনশীট ছিল ১২৯ ম্যাচে ৪৯টি। সবমিলিয়ে বুন্দেস লীগায় শালকের হয়ে ন্যয়ারের ক্লিনশীট সংখ্যা ১৫৬ ম্যাচে ৬২টি। ২০০৯-১০ মৌসুমে শালকের হয়ে ৩৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্লিনশীট রাখেন ১৫টি।

২০১১ সালের পহেলা জুন ৫ বছরের চুক্তিতে শালকে ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন ন্যয়ার। সেই থেকে জার্মান জায়ান্টদের হয়ে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বাভারিয়ানদের হয়ে দশ বছরে ২৬৬ ম্যাচে ন্যয়ার জাল অক্ষত রাখেন ১৪৮টি ম্যাচ। ২০১৫-১৬ মৌসুমে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের জার্সি গায়ে সর্বাধিক ৩৪ ম্যাচে ২১টি ক্লিনশীট রাখেন ন্যয়ার।
২০১৪-১৫ মৌসুমেও ৩২ ম্যাচে ন্যয়ারের ক্লিনশীট ছিলো ২০টি। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইঞ্জুরির কারণে বুন্দেস লীগায় ম্যাচ খেলেছিলেন মাত্র ৩টি। এই ৩ ম্যাচের ২টিই জাল অক্ষত রাখেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক।
তাছাড়া জার্মান বুন্দেস লীগায় সবমিলিয়ে ম্যানুয়েল ন্যয়ার মৌসুম প্রতি ১০ বা তার অধিক ক্লিনশীট রাখেন ১৩ বার। ১৫ বা তার অধিক ক্লিনশীট রাখেন সর্বাধিক ৮ বার। ২০ বা তার অধিক ক্লিনশীট রাখেন ২ বার।