এই সিরিজ দিয়েই ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু করেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই, তবে প্রথম দুই ম্যাচের পর দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। টানা দুই ম্যাচে জিতে ২০ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ, অন্য দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খাতায় এখনও পয়েন্ট শূন্য।
আগামী সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাধারণ দৃষ্টিতে ম্যাচটি ডেড রাবার মনে হলেও ওয়ানডে সুপার লিগের কারণে দুই দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ সিরিজ হারলেও অন্তত ১০ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ থাকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের, অন্যদিকে বাংলাদেশও নিশ্চিত করেই চাইবে পুরো ৩০ পয়েন্ট তুলে নিয়ে সিরিজ শেষ করতে। আজ সেই ১০ পয়েন্ট পাওয়ায় যে নিজেদের লক্ষ্য সেটা জানিয়ে দিয়েছেন ক্যারিবিয়ানদের হেড কোচ ফিল সিমন্স।
আজ চট্টগ্রামে পৌঁছে ফিল সিমন্স বলেন, “আমরা এখানে (বাংলাদেশে) এসেছিলাম ৩০ পয়েন্টের জন্য, এখনও এই সিরিজ থেকে ১০ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো উন্নতি করা, অবশ্যই ১০ পয়েন্ট চূড়ান্ত লক্ষ্য।”
১০ পয়েন্ট পেতে হলে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই ক্যারিবিয়ানদের। ফিল সিমন্সও সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন, “১২২ রানের পর আমরা ১৪৮ করেছি। কিন্তু আমাদের ২৩০-২৫০ রান করতে হবে, যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। লড়াই করার জন্য বোলারদের তো কিছু দিতে হবে।”
করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সফরে আসেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা, যে কারণে অনভিজ্ঞ একটা স্কোয়াড নিয়েই ঢাকায় পা রেখেছে তারা। সিরিজটাকে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য নিজেকে প্রমাণ ও জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ হিসেবেই দেখছেন ফিল সিমন্স।
তিনি বলেন, “আমার চেয়ে দলের কাছে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে (আন্তর্জাতিক) তারা কী করতে পারে, তা দেখানোর সুযোগ এটি। ২০২৩ বিশ্বকাপ, শ্রীলঙ্কা সিরিজ এবং এর পরেও দলে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ তাদের জন্য।”
৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল, সিরিজ নিশ্চিত হলেও শেষ ওয়ানডেতেও জয়ের জন্যই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও দুই ম্যাচে বাজে ভাবে হেরে যাওয়ার পর অন্তত সান্ত্বনা ও ১০ পয়েন্টের জন্য হলেও জিততে চায়।