গত ৭ জানুয়ারি ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ২য় সেমিফাইনাল ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। উক্ত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ৩-১ গোলে হারে আকাশী-নীলরা। ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার দিন ম্যাচের একদম শেষ মুহুর্তে রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারায় রেফারিদের দিকে আগ্রাসি মনোভাব প্রকাশ করে। যার ফলে উক্ত ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটির এক সভা আয়োজিত হয়। উক্ত সভায় ঢাকা আবাহনীর তিন ফুটবলার, প্রধান কোচ ও ট্রেইনারকে জরিমানা প্রদান করেছে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি।
সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুণতে হবে মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে। পচাত্তর হাজার টাকার পাশাপাশি পরবর্তী এক ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং সাদ উদ্দিনকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
এছাড়া ট্রেইনার কাজী নজরুল ইসলাম কে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা গুণতে হবে প্রধান কোচ মারিও লামোসকেও। উক্ত ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত না হওয়ায় ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ২০২০ এর রেগুলেশনস এর ধারার ২৯.৫ অনুযায়ী পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
এছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে চিটাগাং আবাহনী ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ম্যাচে মোহাম্মদ তকলিস আহমেদের অখেলোয়াড় সূলভ আচরণের জন্য নিজ দলের আগামী ২ ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে জরিমানাকৃত অর্থ বাফুফের হিসাব শাখায় জমা দিতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি পুনরায় যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে সবাইকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
Discussion about this post