ফ্রাঙ্কফ্রুর্টের হয়েই প্রথমে নিজেকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন লুকা জোভিচ। ২০১৮-১৯ মৌসুমে জার্মান ক্লাবটির হয়ে দারুণ মৌসুম কাটিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান সার্বিয়ান স্ট্রাইকার। নজরে পড়েন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ক্লাবের। নজর পড়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের! কথায় আছে, ‘মাদ্রিদ যখন কাউকে নজরে রাখে তখন না বলতে নেই’। না বলতে পারেনি জোভিচও। অনেক স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে বার্নাব্যুতে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
কিন্তু ভাগ্য বিধাতা সহায় ছিল না জোভিচের। ইঞ্জুরি, ফর্মহীনতা ও সতীর্থ করিম বেনজেমার অবিশ্বাস্য ফর্মে রিয়াল মাদ্রিদে মৌসুমের বেশিরভাগ সময় বেঞ্চেই কাটিয়েছেন। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ১৮ মাসে ৩২ ম্যাচে ১০১৪ মিনিটে গোল করলেন দুটি। অর্থাৎ প্রতি ৫০৭ মিনিটে এক গোল! তাছাড়া করোনা ভাইরাস ইউরোপে প্রথম দফা আঘাত হানার পর লকডাউনের নিয়ম ভেঙে বেশ বিতর্কেও এসেছেন বারবার। ফলে আত্মবিশ্বাস ছিল একেবারে তলানিতে। হারানোর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতেই জিদানের পরামর্শে জোভিচকে ৬ মাসের লোনে পাঠানো হয় পুরোনো ক্লাব ফ্রাঙ্কফ্রুর্টে।
জার্মানিতে গিয়েই পুরোনো আবহে যেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৮ ম্যাচে যেখানে মাত্র ২ গোল করেন সেখানে পুরনো ফিরে মাত্র ২০ মিনিটেই করলেন জোড়া গোল। শনিবার রাতে জোভিচের জোড়া গোলেই শালকেকে ৩-১ গোলে হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রাঙ্কফ্রুর্ট।
২৮ মিনিটে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভার গোলে ফ্রাঙ্কফ্রুর্ট এগিয়ে গেলেও এক মিনিট পরই ম্যাথুই হোপের গোলে সমতায় ফিরে শালকে। তারপর ৭০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ সমতায় থাকে। তার ১০ মিনিট আগে এরিক ডার্মের বদলি হয়ে মাঠে নামেন জোভিচ। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে মৌসুমের প্রথম গোল করে ফ্রাঙ্কফ্রুর্টকে এগিয়ে দেন জোভিচ। চেনা মাঠে এক গোল করেই থামেননি! খেলা শেষ হওয়ার অন্তিম মুহুর্তে নিজের জোড়া গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সার্বিয়ান এই স্ট্রাইকার। ফ্রাঙ্কফ্রুর্ট ম্যাচটি জিতে ৩-১ গোলে।

প্রায় এক বছর পর জালের দেখা পেয়ে খুশি লুকা জোভিচ। তাই খেলা শেষে ইনস্ট্রাগ্রামে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, “অসাধারণ অনুভূতি! জয় এসেছে, দুই গোল করেছে, এর চেয়ে ভালোভাবে (পুরোনো ক্লাবে) ফেরার কথা ভাবতেও পারতাম না। আশা করি এটা মাত্রই শুরু হলো, সেরাটা এখনো আসার বাকি। সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”