গলে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৮ রানে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড। হাতে আছে ৮ উইকেট। দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে দিনশেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ১২৭ রান। এর আগে ইংলিশ বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৩৫ রানেই অল আউট হয়েছে স্বাগতিকরা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের নেওয়ার আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের জন্য হয়তো আক্ষেপে পুড়েছেন লংকান দলপতি। পুরো দল মিলে প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশ ওভারও খেলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ফলাফল ১৩৫ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা। স্পিনার ডমিনিক বেস আর স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিং নৈপুণ্যের পর ব্যাট হাতে অধিনায়ক জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টোর দৃঢ়তায় প্রথম দিনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি লংকান ব্যাটিং লাইনআপ। পঞ্চাশ তো দূরে থাক, ত্রিশ রানের কোটাও ছুঁতে পারেনি কোন লংকান ব্যাটসম্যান। দলীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের ব্যাট থেকে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ করেছেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপে এই দুজন ৫৬ রান যোগ করেছিলেন স্কোরবোর্ডে। নয়তো বড় লজ্জ্বায় পড়তে হতো স্বাগতিকদের। একই সঙ্গে দলের দুর্দিনে ব্যক্তিগত কীর্তি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্যারিয়ারে চান্ডিমাল ৪০০০ এবং ম্যাথিউস ৬০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আজ। এছাড়া দাশুন শানাকা ২৩, কুশাল পেরেরা ২০, হাসারাঙ্গা ১৯ এবং নিরোশান ডিকওয়েলা করেন ১২ রান।

আজও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন কুশাল মেন্ডিস। এই নিয়ে টানা ৪ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। যা টেস্টে লংকান ক্রিকেটার হিসেবে টানা সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার স্পিনার ডমিনিক বেস। মাত্র ১০ ওভারে ৩টি মেইডেন সহ ৩০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন তিনি। এছাড়া পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ৩টি এবং স্পিনার জ্যাক লিচ নিয়েছে ১টি উইকেট। বাকি উইকেটটি এসেছে রান আউট থেকে।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডেরও। পঞ্চম ওভারে মাত্র ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৪ রান করে স্পিনার লাসিথ এম্বলডুনিয়ার বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ আউট হন ডমিনিক সিবলি। নবম ওভারে দলীয় ১৭ রানে ফিরেন আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি। ৯ রান করে এম্বলডুনিয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা হাতে তালুবন্দি হন এই ইংলিশ ওপেনার।
তবে দ্রুত দুই ওপেনার ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেটে জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের হাল ধরেন অধিনায়ক জো রুট। তাদের ১১০* রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপেই প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে সফরকারীরা। দিনশেষে ৫০ তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেওয়া জো রুট ৬৬*(১১৫) রানে এবং জনি বেয়ারস্টো ৪৭*(৯১) রানে অপরাজিত আছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (প্রথম ইনিংস)
শ্রীলঙ্কাঃ ১৩৫/১০ (৪৬.১ ওভার); চান্ডিমাল ২৮, ম্যাথুস ২৭, শানাকা ২৩; বেস ৫/৩০, ব্রড ৩/২০।
ইংল্যান্ডঃ ১২৭/২ (৪১ ওভার)
রুট ৬৬*, বেয়ারস্টো ৪৭*, এম্বলডুনিয়া ২/৫৫।