বার্সেলোনা সমর্থকদের কাছে লিওনেল মেসি মানেই এক আস্থার নাম, ভরসার প্রতীক। যার পায়ের জাদুতে এসেছে একের পর এক সাফল্য। তার পায়ের জাদু দেখে অগণিত মানুষ তাকে হৃদয়ের মণি কোঠায় ঠাই দিয়েছে। কিন্তু সেই লিওনেল মেসি যদি বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য ক্লাবে যোগ দেয় তখন এসব বার্সেলোনা সমর্থকদের মনের অবস্থা কেমন হবে একবার ভেবে দেখেছেন?
সেটা ভাবার আর সময় কই? যেখানে লিওনেল মেসি নিজেই বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিল সেখানে অন্য কোন কিছু ভাবা নিছক সময় নষ্ট।
বার্সেলোনার দীর্ঘ ক্যারিয়ার পার করার পর চলতি সিজনের শুরুতেই ক্লাবের সাথে বণিবানা না হওয়ায় দল ছাড়তে চেয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন সুপার স্টার কিন্তু ক্লাব সমর্থক ও ম্যানেজমেন্টের কথায় থেকে যান নিজের বেড়ে উঠা ক্লাবটিতে।
তবে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন চলছে এ সিজনের শেষেই ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতে পাড়ি জমাচ্ছেন এই সুপার স্টার। তবে এই গুঞ্জনে আরো বড় পাল তুলে দিল ফ্রেঞ্চ সাংবাদিক জিওফ্রয় গ্যারেটিয়ার।

তার দাবি এই সিজন শেষেই পিএসজিতে যোগ দিবে লিওনেল মেসি। যার কারণেই ইতোমধ্যে মেসির পরিবার ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখা শুরু করে দিয়েছেন।
আগামী জুনেই বার্সেলোনার সাথে মেসির চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে। নতুন করে এখনও চুক্তি করেনি ক্লাব। তাই এই সুযোগে ম্যানচেস্টার সিটিও মেসিকে দলে পেতে চায়। এ ব্যাপারে সাংবাদিক জিওফ্রয় গ্যারেটিয়ার বলেন,
“মেসি যদি ম্যান সিটিতেই যায় তবে কেন ফ্রেঞ্চ ভাষা শিখতে যাবে? এটা কখনই হয় না। মেসির ফ্রেঞ্চ শেখার বিষয়টি আমি বিশ্বাস করি এবং এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই আমি মনে করি মেসি বার্সা ছাড়বে সে কারণেই ফ্রেঞ্চ ভাষা শিখছে।”
মেসির পিএসজিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আরো জোড়ালো করেছেন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো। গত সপ্তাহে তিনি বলেছেন, “লিওনেল মেসির মত প্লেয়ারকে যেকোন দল পেতে চাইবে। তাই আমরাও তাকে আমাদের তালিকায় রেখেছি।”
ফ্রেঞ্চ টেলিভিশনের কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাংবাদিক জিওফ্রয় গ্যারেটিয়ার আরও বলেন, “বর্তমানে বার্সেলোনার আর্থিক অবস্থা খুব ভাল নয়, এ কারণেও তারা মেসিকে ছেড়ে দিবে।”
মেসির সাবেক সতীর্থ নেইমার ও আর্জেন্টাইন সতীর্থ ফুটবলার ডি মারিয়া, পার্দেসরা পিএসজির হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। সাথে প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন আরেক আর্জেন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো।
কয়েকদিন আগেই আর্জেন্টাইন লিওনার্দো পার্দেস জানিয়েছিলেন তিনি লিওনেল মেসিকে পিএসজিতে দেখতে চান।
তবে এত জল ঘোলার পর লিওনেল মেসি শেষ পর্যন্ত কোথায় যাচ্ছেন সেটার দেখার অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে।