বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইয়ো ইয়ো টেস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই, ক্রিকেটারদের ফিটনেসের মানদণ্ড যাচাই করতে বর্তমানে এই পদ্ধতি ক্রিকেট বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারতের মতো দেশগুলো অনেক দিন আগে থেকেই ফিটনেস পরিক্ষার জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে। এবার তাদের পথেই হাটতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও, চালু করতে যাচ্ছে ইয়ো ইয়ো টেস্ট।
জাতীয় দলের ট্রেইনার নিকোলাস ট্রেভর লির পরামর্শেই ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালুর পরিকল্পনা করেছে বিসিবি, এর আগে ফিটনেস পরিক্ষায় ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট নেওয়া হতো। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও একই পদ্ধতিতে ফিটনেস পরিক্ষা নেওয়া হয়েছে, ইয়ো ইয়ো টেস্ট আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সব পর্যায়ের ক্রিকেটেই চালু করা হবে।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে নিকোলাস ট্রেভর লি বলেন, “ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালুর বেশকিছু কারণ আছে, ফিটনেসের মানদণ্ড বুঝতে অন্য দেশগুলো এটাই অনুসরণ করছে। আমরা তাদের সাথে সমন্বয় করতে চাই, যাতে করে অন্যদের সাথে তুলনা করতে সুবিধা হয়। এছাড়াও এটা আমার ও আমার পরবর্তী ট্রেইনারের জন্য কাজে দিবে।”
ইয়ো ইয়ো টেস্ট কেন চালু জরুরি সেটাও জানিয়েছেন জাতীয় দলের এই ট্রেইনার, “র্যাংকিংয়ের সেরা ১০ দলের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে না, আমার কাছে বাঁকি দলগুলোর ইয়ো ইয়ো টেস্টের তথ্য আছে। এটা অ্যাথলেটসদের ফিটনেসের সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে, বিপ টেস্ট দিয়ে শুধু শারিরীক অবস্থা বুঝা যায়।”
ইয়ো ইয়ো টেস্টে একজন ক্রিকেটারকে ২৩ লেভেল পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে হয়। যে লেভেল গুলোতে ৩৬৪০ মিটার দৌঁড়াইতে হয়। প্রতিটি রাউন্ডের পর এখানে ১০ সেকেন্ডের বিরতি থাকে। ৪০ মিটার দৌড় শেষ করতে ১৪.৫০ সেকেন্ড সময় বেঁধে দেওয়া হয়, একজন ক্রিকেটার ২৩ লেভেলের মধ্যে ১৮ টি শেষ করতে পারলেই ফিটনেস ভালো হবে গণ্য করা হয়। যেখানে বিপ টেস্টে মানদণ্ড হিসেবে রাখা হয়েছে ১১ স্কোর, বেঁধে দেওয়া সময়ে একজন ক্রিকেটারকে ২২ গজে দুই রান নিতে হয়।
ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালু করেই রাতারাতি সবকিছু পাল্টে যাবে এমনটা মনে করেন না নিকোলাস ট্রেভর লি, তবে সংস্কৃতিটা চালু করতে চান তিনি। প্রথমে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিয়েই নতুন এই পদ্ধতি শুরু করতে চান লি, এরপর পর্যায়ক্রমে সব জায়গাতেই এটা প্রয়োগের আশা তার।