বসুন্ধরা কিংসের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর সফলতার মুখ দেখেছেন জনাব ইমরুল হাসান। তার হাত ধরেই চ্যাম্পিয়নশীপ থেকে বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায় বসুন্ধরা কিংস। এরপর কি হলো সেটা তো সবারই জানা। একে একে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ, স্বাধীনতা কাপ ও টানা দুই বার ফেডারেশন কাপ জয় করে বসুন্ধরা কিংস। গত (রবিবার) সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ঝুলিতে চতুর্থ শিরোপা ধরা দিয়েছে। এই জয়ে দারুণ উচ্ছেসিত ক্লাব সভাপতি জনাব ইমরুল হাসান।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ডেইলিস্পোর্টসবিডি কে তিনি জানান, “ক্লাব সভাপতি হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের জন্য গর্ব অনুভব করছি। আমরা টানা ২য় বারের মত ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন হলাম। যার ফলে আগামী বছর এএফসি কাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলো আমাদের। আমার বিশ্বাস ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো এবং এই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অবদান ফুটবলার, কোচ এবং অফিশিয়ালদের। বসুন্ধরা কিংসের ফ্যানদেরও আমি ধন্যবাদ জানাই,যারা মাঠে বা বাসায় বসে কিংসকে সাপোর্ট দিয়েছেন।”
ইমরুল হাসান সব সময় ফুটবলারদের উৎসাহ প্রদানে এগিয়ে আসেন। যার ফলে এই জয়ে ফুটবলার, কোচ ও অফিশিয়ালদের জন্য বোনাসের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু টাকার পরিমাণ উল্লেখ করেননি তিনি।
অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন বলেছেন, “ম্যাচ শেষে বড় স্বস্তি লাগছে। তারা পাল্টা আক্রমণের কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছিল। আমরা আগেই তাদের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের আক্রমণ রুখতে পেরেছি। রক্ষণে গ্যাপ পূরণ করার চেষ্টা করেছি। আর মাঝ মাঠ দখলে রাখতে যেমন পিচ দরকার ছিল তা ছিল না। তাই চেষ্টা করেছি লম্বা পাসে আক্রমণ সাজানোর। দলের সমন্বয় ভালো ছিল তাই জয় পেয়েছি। শিরোপা ঘরে রেখে দিতে পেরেছি দারুণ লাগছে।”
ফাইনালে ম্যাচের ৫২ মিনিটে আর্জেন্টাইন রাউল বেচাররা এক মাত্র গোলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ৫ লক্ষ ও রানার্সআপ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
রাউল বেচাররা ম্যাচ সেরা হলেও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ইকেচুকো কেনেথ। তবে রাউল ও কেনেথ সর্বোচ্চ পাচ গোল করে যৌথ ভাবে টপ স্কোরার হয়েছেন। এছাড়া চিটাগাং আবাহনীকে ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।