গত কাল (বুধবার) ফুটবল ফেডারেশনে নিজ কাজে ব্যস্ত ছিলেন চার বারের নির্বাচিত বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। সকাল গড়িয়ে দুপুর কিন্তু তখনও দুপুরের খাবার খাননি তিনি। তাই ক্যাম্পে থাকা মেয়েদের জন্য যা রান্না করা হয়েছে তাই নিয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু প্রথম বার খাবার মুখে দিয়েই কিছুটা রাগান্বিত হন তিনি। কি কারণে রাগলেন সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“যেভাবে তেল-মসলা আর ঝালে ভরা ছিল খাবার- তা কোন ভাবে ফুটবলারদের সাথে যায় না। কিন্তু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, কম তেল-মসলা আর ঝালের খাবার মেয়েদের না খাওয়ানোর।”
নারী ফুটবলারদের খাদ্যতালিকায় প্রধানত মাছ, মুরগি, শাক-সবজি থাকে। যা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই বাফুফে সভাপতির। তাহলে কি কারণে এভাবে রান্না করা হচ্ছে সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রান্নার বাবুর্চিকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। বাবুর্চি বলেন, “এভাবে রান্না না করলে খেতে চায় না মেয়েরা”।
বাবুর্চির এমন উত্তর শুনে আরও ক্ষেপে যান কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, “এসব আমাকে বোঝাতে এসো না। একবেলা খাবে না, দুইবেলা খাবে না। তৃতীয়বেলায় ঠিকই খাবে। ক্ষুধা লাগলে সিদ্ধ খাবারও খাবে এরা। এখন থেকে খাবারে তেল, ঝাল, মসলা দেয়া যাবে না। এমনকি রান্নায় সয়াবিন তেল ব্যবহারও নিষিদ্ধ, এখন থেকে রান্না হবে অলিভ ওয়েল দিয়ে, এর ব্যতিক্রম হতে পারবে না।”
এ ব্যাপারে নারী ফুটবলের উইং মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নারী ফুটবলারদের ক্যাম্পে এখন ৩৮ জনের মতো মেয়ে আছে। তাদের উন্নত খাবার নিশ্চিত করতে বাফুফে প্রতি মাসে খাবারের পেছনে ব্যয় করে প্রায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার মতো।