বাংলাদেশের মাটিতে লাতিনরা এমন দাপট দেখাবে এমনটা ক'জনই বা ভেবেছিল। তবে ভাবনা গুলো বাস্তবে পরিণত করতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলার দর্শকদের। ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই বসুন্ধরা কিংসের তিন লাতিন ফুটবলার সবাই নজর কাড়তে থাকেন।
বসুন্ধরা কিংসের তিন লাতিন যেন ফুটবলের সৌন্দর্য্য নিয়েই বাংলাদেশে পা দিয়েছেন। প্রতি ম্যাচেই ফুটবলের সৌন্দর্য্য ফুটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এই সৌন্দর্য্যকে আরও পুলকিত করতে তাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকা আবাহনীর দুই ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল অগোস্তো ও ফ্রান্সিসকো তোরেস। আজ (বৃহস্পতিবার) এই ৫ লাতিন ফুটবলার কে এক সাথে ঢাকার মাঠ মাতিয়েছেন। পুরা ম্যাচেই লাতিন ছন্দ ছড়িয়েছেন এই ৫ ফুটবলার। বসুন্ধরা কিংসের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন তিন লাতিন ফুটবলার।
আর্জেন্টাইন হার্নান বার্কোসের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে এসেছেন রাউল বেচাররা। ফেডারেশন কাপে যত ম্যাচ খেলেছেন ততো গোল করে বসুন্ধরা কিংসের এই নাম্বার নাইন ভুলিয়ে দিচ্ছেন বার্কোসের নাম। তবু আলো যেন খানিকটা কমই পড়ে ওর ওপর। সেমিফাইনালের ক্রাঞ্চ ম্যাচ, এক্সট্রা টাইমে ক্রুশাল গোল! এবার রাউল বেচাররাই নায়ক।
ম্যাচ শেষে রাউল বেচাররা বলেন, "সব ম্যাচে গোল করেছি। দারুণ খুশি। সত্যি বলতে এখানে আসা সফল। বসুন্ধরার মতো ক্লাব আমার থেকে এমন কিছুই প্রত্যাশা করেছিল। এখন ফাইনালে গোল পেলেই হয়!"
দলে ব্রাজিলিয়ান আছে দুজন। আবাহনীতেও সমান। ঘরোয়া লিগে বেচাররা একাই আর্জেন্টাইন। চার গোলের সেকেন্ড সেমিফাইনালে ৩টাই করেছেন ব্রাজিলিয়ানরা। তাতে কী? বেচেররা গোবেচারা নন। যেন লড়াই জুড়ে দিয়েছেন সবার সঙ্গে!
তিনি আরও বলেন, "আমার দুই টিমমেট ব্রাজিলিয়ান। ওরা দুর্দান্ত খেলছে। জোনাথন জোড়া গোল করেছে আজ। কিন্তু ডিসাইসিভ গোলটা তো আমারই!"
ঢাকা আবাহনীর দুই ব্রাজিলিয়ান বাদ পড়লেও বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ফাইনাল ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বাকি তিন লাতিন।
Daily Sportsbd is a sports-based news platform that conveys authentic information and news on sports.