২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আলো কেড়েছিলেন তিনি। সে বছরই তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল শাহীন শাহ আফ্রিদির। তারপর থেকে তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে নিয়মিত খেলে আসছেন বাঁহাতি পেসার। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন বছরের এই ছোট্ট ক্যারিয়ারের ইতোমধ্যে ৭৫০ ওভার বল করে ফেলেছেন তরুণ তুর্কী।
২০১০ সালে পর অভিষেক এবং বয়স ২০ বছরের মধ্য এমন বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বল করেছেন পাকিস্তানি পেসার। শুধু কি তাই! তালিকার দুইয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদার চেয়ে এই সময়টাতে ৪০৬ ওভার বেশি করেছেন শাহীন আফ্রিদি।
পাকিস্তানের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ১৫টি টেস্ট, ২২টি ওয়ানডে এবং ২১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শাহীন আফ্রিদি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার উইকেট সংখ্যা ১১৭। যেখানে তিনি প্রতিটি উইকেট নিতে গড়ে ২৬.৭১ রান দিয়েছে এবং প্রতি ৬.৪১ ওভারে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে তাঁর চেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার।
২০ বছর বয়সের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বল করার এই তালিকায় আছেন দুইজন বাংলাদেশি বোলারও। তালিকার পাঁচে থাকা টাইগার পেসার শফিউল ইসলাম করেছেন ২৬১.১ ওভার। আর আরেক টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এ সময়টাতে করেছেন ১৪৯.২ ওভার। বাহাতি পেসার আছেন তালিকার দশম স্থানে।
২০ বছর বয়সে মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ওভার করা বোলারদের তালিকাঃ (২০১০ সালের পর অভিষেক)
- শাহীন আফ্রিদি (পাকিস্তান) – ৭৫০.০ ওভার
- কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ৩৪৪.০ ওভার
- আলজারি জোসেফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২৯৮.০ ওভার
- লাহিরু কুমার (শ্রীলঙ্কা) – ২৯৫. ০ ওভার
- শফিউল ইসলাম (বাংলাদেশ) – ২৬১.১ ওভার
- নাসিম শাহ (পাকিস্তান) – ২২৪.৪ ওভার
- কিমো পল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ১৯০.২ ওভার
- লুক জংউই (জিম্বাবুয়ে) – ১৬৫.১ ওভার
- স্যাম কারেন(ইংল্যান্ড) – ১৬০.৫ ওভার
- মুস্তাফিজুর রহমান(বাংলাদেশ) – ১৪৯.২ ওভার