২০২০ আইপিএলে ব্যাট-বল হাতে একেবারেই বর্ণহীন ছিলেন হার্ড হিটিং অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যার ফলে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল তার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস)। তার পরেও ম্যক্সির দামে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। পুনরায় বিক্রি হয়েছেন চড়ামূল্যে। এ নিয়ে ঠাট্টার ছলে জাতীয় দলের সতীর্থকে খোঁচা মেরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
২০২০ সালের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইপিএলে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে ম্যাক্সওয়েলকে দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব । কিন্তু নামের প্রতি সামান্যও ভালো বিচার করতে পারেননি তিনি। উল্টো সবাইকে হতাশ করেছেন। দিশেহারা ম্যাক্সওয়েল ১৩ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ১৫.৪২ গড়ে ১০৬ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১০১.৮৮। মারতে পারেননি কোনও ছক্কা।
এভাবে তার দলকে হতাশ করার পর এত দামে তাকে ধরে রাখার মত দুঃসাহস দেখাতে পারেনি প্রীতি জিনতার দল। তাকে ছেড়ে দেয়ার পর ২০২১ আইপিএলের নিলামে আবারও ম্যাক্সিকে কেনার চেষ্টা করেছিল পাঞ্জাবও। তবে ব্যাঙ্গালরুর সাথে পেরে দেননি। সবাইকে অবাক করে ১৪ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তাকে কিনে নেয় কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালরু। আগের মৌসুমে পুরোপুরি ব্যর্থ এক ব্যাটসম্যানের দাম না কমে উল্টো আরও সাড়ে তিন কোটি রুপি বেড়ে গেলে চোখ কপালে উঠায় স্বাভাবিক।
তবে আইপিএল শেষেই দেখা মেলে ভিন্ন ম্যাক্সওয়েলের। ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে দেখা মিলেছিল সেই সহজাত ম্যাক্সওয়েলের। যেটিই তার আইপিএলে দাম বাড়িয়ে দেয়ার পিছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে অস্ট্রেলিয়া । ইঞ্জুরির কারণে দলে নেই ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম ম্যাচে তাকে দেখা গেল ধারাভাষ্য কক্ষে। এক পর্যায়ে ম্যাক্সওয়েলকে দেখে তিনি বলে ওঠেন, “আইপিএলের নিলামে ‘বিগ শো’র (ম্যাক্সওয়েল) সময়টা খারাপ যায়নি।” পাশে থাকা স্টিভ ওয়াহ বলেন, “বিশেষ করে, গত আইপিএলটা তার যেমন কেটেছে!, সেই বিবেচনায়।”
এরপরই ম্যাক্সওয়েলের দাম নিয়ে রসিকতায় মাতেন ওয়ার্নার-ওয়াহ। ওয়ার্নার বলেন,
“এটা বিস্ময়কর। কাউকে তার দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলো (বাজে পারফরম্যান্সের কারণে) এবং পর সে আগের চেয়ে আরও বেশি দাম পেয়েছে! আমরা তার ক্ষমতা সম্পর্কে জানি। আমি নিশ্চিত যে, ওর কাছে দলগুলোর চাহিদা একটু বেশিই। কিন্তু আমি এটাও নিশ্চিত, সে (বিশাল মূল্যের) প্রতিদান দেবে।”