আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) ভারত নিজের প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নিয়েছে, এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। আইসিসির সকল বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ করে নিজের সুবিধামত আইন কানুন বদলে নেয়। এমনকি ভারতের সুবিধার কথা চিন্তা আইসিসি বিভিন্ন সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে এমন অভিযোগও নতুন কিছু নয়।
গতকাল (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য টেলিগ্রাফকে’ তো মাইকেল ভন বলেছেন আইসিসি নখদন্তহীন। ভন বলেন, “ভারতের মতো শক্তিশালী দেশগুলোকে যত দিন পর্যন্ত আইসিসি যা খুশি তাই করতে দিবে, তত দিন পর্যন্ত আইসিসিকে নখদন্তহীনই মনে হবে।” আইসিসি ভারতকে টপকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সেটি বলতেই এমন মন্তব্য করেছেন ভন।
এবার ভারত আইসিসিকে নিয়ে শুরু হিয়েছে নতুন বিতর্ক। আইসিসির সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ ভারত । আগামী দুই বছরে ভারত সুযোগ পাচ্ছে দুইটি বিশ্বকাপ আয়োজনের। কিন্তু অনেক দেশ আছে যারা দীর্ঘদিন আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে পারছে না।
আইসিসির উদ্যোগ ছিল, ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসির সকল প্রতিযোগিতা কোন দেশ আয়োজন করবে, সেটা ঠিক হবে নিলামের মাধ্যমে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সমর্থন দেয়নি ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “বোর্ডের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডও আমাদের পাশে দাঁড়াবে এবং এই প্রস্তাব মেনে নেবে না।”
আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাইনি অবশ্য পাশে পেয়েছেন পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে। একটি সুত্র ভারতীয় মিডিয়াকে জানাচ্ছে- ওমান, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো ছোট ছোট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশও আইসিসির এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার পক্ষে।
আইসিসির নতুন এই নিয়মে একটি দেশ নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতি ৮ বছরে কেবল একটি মাত্র বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে। যার ফল স্বরুপ এমন নারাজ ভারত।