ক্রিকেটের আকাশ থেকে খসে পড়লো আরো এক নক্ষত্র। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন সাবেক সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন না শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলে। অবশেষে অবসের সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন এই লংকান গ্রেট।
অবসরের বিষয়টি সামাজিক যোযাগোগ মাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে নিশ্চিত করেছেন থারাঙ্গা নিজেই। বিদায় নিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, “আমার প্রিয় বন্ধুরা, সমস্ত ভাল জিনিসের অবসান হওয়া উচিত। বিশ্বাস করি যে এই মুহূর্তে আমার ১৫ বছরেরও বেশি সময়েরর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানো সময় এসেছে।”
তিনি আরো লিখছেন, “সর্বদা বিশ্বাস এবং আমার উপর আস্থা রাখার জন্য আমি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি অনেক ক্রিকেট প্রেমী অনুরাগী, বন্ধুবান্ধব এবং আমার পরিবারের কাছে আমার ভালো সময় এমনকি আমার ক্যারিয়ারের খারাপ সময় আমার পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞ। আপনার শুভকামনা এবং উত্সাহের বার্তাটি আমার সুফলতার পিছনে মূলমন্ত্র ছিল। সবকিছুর জন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”
২০১৯ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নেমেছিলেন থারাঙ্গা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৮ সালে খেলেছেন শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেটিই ছিল তার ঘরের মাঠের শেষ ম্যাচ। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২০১৭ সালে।
বর্ন্যাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছিল এই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের। অথচ আনুষ্ঠানিক অবসরের জন্য পেলেন না একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ৩১ টেস্টে ৩১ গড়ে ১৭৫৪ রান করেছেন থারাঙ্গা ৩ টি শতকের বিপরীতে রয়েছে ৮ টি অর্ধশতক।
টেস্ট ক্রিকেটে চেয়ে একদিনের ক্রিকেটে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ২৩১ টি একদিনের ম্যাচ ৩৩ গড়ে ৫৯৫১ রান করেছেন থারাঙ্গা। ১৫ টি শতক এবং ৩৭ টি অর্ধশতক রয়েছে এই ব্যাটসম্যানের নামের পাশে। এছাড়াও সবমিলে প্রায় ৩৫ হাজারের কাছাকাছি রান করেছেন তিনি।
২০২১ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে তোলার পিছনে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন তিনি। দারুণ এক রেকর্ডের মালিকও তিনি। রিকি পন্টিংয়ের পর বিশ্বের মাত্র ২য় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ বার ২০০+ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। আজকের পর থেকে লঙ্কানদের জার্সিতে দেখা যাবেনা তাকে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট চালিওয়ে যাবেন উপুল থারাঙ্গা।