২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এএফসি চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাই পর্বে গ্রুপ ‘ই’ তে জায়গা পেয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, ওমান, আফগানিস্তান ও কাতার। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নিজেদের পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে এবং ঘরের মাঠের তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।
চলতি মার্চে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের সাথে খেলার কথা থাকলেও তা এখনও এএফসির সিদ্ধান্তের উপরে ঝুলে আছে। আজ এক টেলিকনফারেন্স মিটিং আয়োজন করে এএফসি, যেখানে গ্রুপ ‘ই’ এর সব দেশ থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি এবং এএফসির কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করে। উক্ত টেলিকনফারেন্সে প্রতিটা দেশই তাদের সমস্যা ও সুযোগ সুবিধা গুলো তুলে ধরে।
ভ্রমণ ক্লান্তি ও করোনায় হোম কোয়ারাইন্টের কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে আসতে রাজি নয় আফগানিস্তান। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবে দেশের মাটিতে ম্যাচ আয়োজন করার।
এএফসির টেলিকনফারেন্স শেষে জাতীয় দল কমিটির সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু জানান,
“আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। আমরা দেশের মাটিতেই খেলতে চাই এবং আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরেছি। অন্যান্য দেশ গুলাও তাদের মতামত জানিয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই লিখিত ভাবে এএফসিকে বিস্তারিত চিঠি পাঠানো হবে।”
এর আগে ওমান ও কাতার তাদের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচ গুলা আয়োজনের জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের এই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বাকি তিন ম্যাচই দেশের মাটিতেই খেলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচের ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও মার্চে ফিফার ম্যাচ ডের বাকি দুই ম্যাচ বাতিল করে জুনে নেওয়া হয়েছে।