বিরাট কোহলির নেতৃত্বে অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে অলআউটের লজ্জ্বায় ডুবে হারের পর, ঘরের মাঠেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হেরেছিল ভারত। এমন দুই হারের পর কোহলির নেতৃত্বগুণ নিয়ে হয়েছিলো তীব্র সমালোচনা। তবে চেন্নাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেই স্বরুপে ফিরেছে স্বাগতিক, ইংলিশদের হারিয়েছে ৩১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। আর এ জয়ে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে ঘরের মাঠে সর্বাধিক টেস্ট জয়ে কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছুঁয়েছেন বিরাট কোহলি।
চেন্নাই তৃতীয় দিনেই ঘরের ছেলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নৈপুণ্যে জয় মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতদিন ৫৩ রানে তিন উইকেট হারানো ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় ইনিংসে আজ থেমে ১৬৪ রানে। ফলে এশিয়ার মাটিতে টানা ৬ ম্যাচ পর হারের স্বাদ পেলো জো রুটরা। সেই সাথে রানের ব্যবধানে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
অবশ্য শেষদিকে মঈন আলী ১৮ বলে ৪৩ রানের টর্নেডো ইনিংস না খেললে আরও আগেই থামতে পারতো সফরকারীদের ইনিংস। ২৩৮.৮৮ স্ট্রাইক রেটের এই আগ্রাসী ইনিংসে অক্ষর প্যাটেলের ৩ বলে টানা ৩ ছক্কা হাঁকান ইংলিশ অলরাউন্ডার।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার অভিষিক্ত অক্ষর প্যাটেলই। নবম ভারতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি অফস্পিনার।
নিজেদের মাটিতে ধোনির নেতৃত্বে ৩০ টেস্টে ২১টিতে জয় পেয়েছিল ভারত। আর বিরাট কোহলির অধীনে ২৮ টেস্টেই ২১ জয় এসেছে ভারতের মাটিতে। ঘরের মাঠে সর্বাধিক টেস্ট জয়ের তালিকায় সবার উপরে দক্ষিণ আফ্রিকা সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তার অধিনায়কত্বে ৩০টি টেস্ট জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
সব ফরম্যাট মিলিয়ে ভারতের মাটিতে জয়ের পরিসংখ্যানে অবশ্য এখনও বেশ খানিকটা এগিয়ে আছেন ক্যাপ্টেন কুল। ঘরের মাঠে তিন ফরম্যাটে ৭৪টি ম্যাচ জিতেছেন অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে সকল ট্রফি এনে দেওয়া মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর ৫৩টি করে জয় পেয়েছেন মোহাম্মদ আজাহারউদ্দিন এবং বিরাট কোহলি।