অবিশ্বাস এক ম্যাচের সাক্ষী হলো ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরেও চিটাগাং আবাহনীর সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে বাল্লো ফামোসার পেনাল্টি থেকে করা গোল অসাধারণ কাম ব্যাকের সৃষ্টি করল পুলিশ। এর আগে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আখমেদোভের কর্ণার থেকে মাথায় ছুইয়ে প্রথম বারের মত ব্যবধান কমিয়েছিলেন ফেডরিক পোদা এবং ৭৫ মিনিটে সেই আখমেদোভের কর্ণার থেকে দুর্দান্ত ভাবে মাথা ছুইয়ে চিটাগাং আবাহনীর গোলকিপারকে ফাকি দিয়ে বল জালে জড়ান বাংলাদেশ পুলিশ অধিনায়ক ল্যান্সিন তোরে।
ম্যাচের শেষটা পুলিশের জন্য সুখকর হলেও শুরুর ৫০ মিনিট ছিল পুরাটাই বিপরীত অধ্যায়। বাংলাদেশ পুলিশকে এক প্রকার চেপে ধরে তিন গোলের লিড নিয়েছিলো মারুফুল হকের শিশ্যরা। যার শুরুটা হয়েছিলো ম্যাচের ১৮ মিনিটে। মান্নাফ রাব্বির কাট ব্যাক থেকে ডি-বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান নিক্সন গুইলহারমে। চলতি সিজনে এটি ছিল নিক্সনের ষষ্ঠ গোল।
ম্যাচে ২য় বারের মত লিড পেতে মারুফুল হকের শিষ্যরা সময় নেয় মাত্র দুই মিনিট। মাঝ মাঠ থেকে চিনেদু ম্যাথিউয়ের কৌশলী পাস দারুণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন রাকিব হোসেন। বিরতি থেকে ফিরে ৪৯ মিনিটের মাথায় আবারো লিড পায় চিটাগাং আবাহনী। তবে এবারের গোলে রাকিবের যতটা অবদাম তার থেকেও বেশি অবদান ছিল প্রতিপক্ষের গোলকিপার নেহাল আহমেদের। নিজ দলের খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্যে বাড়ানো বল আচমকা বেড়িয়ে এসে ফাকা পোস্টে শট নিয়ে বল জালে জড়ান রাকিব হোসেন। দলের ৩য় ও নিজের ২য় গোলের দেখা পান এই তরুণ মিডফিল্ডার।
পয়েন্ট ভাগাভাগির দিনে চিটাগাং আবাহনীর ডিফেন্ডার মনজুরুর মানিক ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। পুলিশের নিশ্চিত হতে যাওয়া গোল হাত দিয়ে ঠেকালে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজায় এবং এই পেনাল্টি থেকে গোল করেই নিশ্চিত হার থেকে ড্র নিয়ে ফিরে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।
এই ড্র’তে চিটাগাং আবাহনী আট ম্যাচে দুই জয়, তিন ড্র ও তিন হারে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭ নাম্বারে, অন্য দিকে সাত ম্যাচে দুই জয়, দুই ড্র ও তিন হারে আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আট নাম্বারে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।