টেস্ট ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের আবির্ভাব হয়েছিল রাজকীয় ভাবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৬-১৭ মৌসুমে কলোম্বো টেস্টে সাকিব আল হাসানের শতকের পাশাপাশি মোসাদ্দেক হোসেনের ৭৫ রান তো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের অনেকগুলি সেরা ইনিংসের একটি।
মোসাদ্দেকের ৭৫ এ চেপে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভেসেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকদের প্রশংসায়। ফাস্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারও মোসাদ্দেক। আছে ৩ টি ডাবল হান্ড্রেড । গড়টাও ৫৭। তবুও তার ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৩ টি টেস্ট।
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের সেই ম্যাচের পরই বাদ পড়েছেন টেস্ট দল থেকে। ওই টেস্টেও দলের ২য় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ছিল মোসাদ্দেকেরই। তার পরেও কেন টেস্ট দলের ভাবনায় নেই মোসাদ্দেক। সেটি জানেন না মোসাদ্দেক নিজেও। তাইতো নিজেও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ভাবছেন না এখন।
তবে তার ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটের যে রেকর্ড তাতে একটা সুযোগ তার প্রাপ্য বলে মনে করেন মোসাদ্দেক। বিডি নিউজ২৪ কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোসাদ্দেক বলেন,
“টেস্ট নিয়ে আসলে এই মুহূর্তে কিছুই ভাবছি না। ভাবার অবস্থায় মনে হয় আমি নেই। ৩টি টেস্টে আমি যেভাবে খেলেছি এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে যে রেকর্ড, আমি তো আশা করতেই পারি যে আরও কয়েকটা টেস্টে যেন খেলার সুযোগ পাই। সেটি হয়তো হয়নি। টিম কম্বিনেশনের কারণে বা অন্য যে কোন কারণে হতে পারে, আমি জানি না কেন (সুযোগ) হয়নি। টেস্ট দলে নেই, এই বাস্তবতার সঙ্গে আমি মানিয়ে নিয়েছি। এখন তো আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার নই, এসব সহ্য করতে শিখেছি।”
তাহলে কি টেস্ট খেলা নিয়ে মোসাদ্দেকের আর কোনও আশা নেই? তিনি জানিয়েছেন,
“আমি কিন্তু সবসময়ই বলেছি, টেস্ট ও ওয়ানডেকে আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দেই। দুটি ঘিরেই স্বপ্ন, আশা, ভবিষ্যৎ, সব ছিল ও আছে। যখন দেখি আমার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫৭ গড়, টেস্টে গড় ৪১, তখন খারাপ লাগে আরও বেশি টেস্ট খেলতে না পারা নিয়ে। কিন্তু আমাকে হয়তো পরিকল্পনাতেই রাখা হয়নি, বিবেচনাতেই নাই। সেই কারণে হয়তো খেলতে পারিনি। আমি কী করতে পারি!”
সাকিব আল হাসান না থাকায় ব্যাক আপ অলরাউন্ডার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে জায়গা পেয়েছেন মোসাদ্দেক। চুড়ান্ত স্কোয়াডে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতে চান এই অলরাউন্ডার।