সমতা নিয়েই চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেখান থেকে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে হলে মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে হতো টাইগারদের। সেই কাজটা দুর্দান্ত ভাবেই করছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
৬ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যাট শুরু করেন প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ভোগানো ক্রুমাহ বোনার ও জশোয়া ডি সিলভা, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের জুটিকে হুমকি হতে দেননি তাইজুল ইসলাম। ২০ রান করা ডি সিলভাকে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর পর ভয়ংকর আলজারি জোসেফকেও ফিরিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করা ক্রুমাহ বোনার নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হয়ে গেলে অল আউট হওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, রাকিম কর্নওয়েলকে ১ রানে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১৭ রানেই গুটিয়ে দেন নাঈম হাসান।
প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানে এগিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড দাঁড়ায় ২৩০ রান।
এর আগে ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে দিন শুরু করেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ক্রুমাহ বোনার ও জোমেল ওয়ারিকান। নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিকানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন পেসার আবু জায়েদ রাহি, ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
৫৫ রানে পঞ্চম উইকেটও তুলে নেওয়ার সুযোগ এসেছিলো বাংলাদেশের, তবে ক্যাচ দিয়েও অধিনায়ক মুমিনুল হক, উইকেটরক্ষক লিটন দাসের নিষ্ক্রিয়তায় বেঁচে যান প্রথম টেস্টের হিরো কাইল মায়ের্স। তবে সেই আক্ষেপটা দীর্ঘ হতে দেননি রাহি, ৬ রান করা মায়ের্সকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।
মায়ের্স ফেরার পর ছক্কা দিয়ে রানের খাতা খোলা জারমেইন ব্ল্যাকউডকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম, দারুণ স্ট্যাম্পিং করেছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ব্ল্যাকউডের ব্যাট থেকে আসে ৯ রানের ইনিংস, ৭৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ এবং ১১৭ (জন ক্যাম্পবেল ১৮, শেন মোসলে ৭, এনক্রুমাহ বোনার ৩৮, জশোয়া ডি সিলভা ২০, তাইজুল ইসলাম ৪/৩৬, নাঈম হাসান ৩/৩৪, আবু জায়েদ রাহি ২/৩২, মেহেদি হাসান মিরাজ ১/১৫)।
বাংলাদেশ ২৯৬ (লিটন দাস ৭১, মেহেদি হাসান মিরাজ ৫৭, মুশফিকুর রহিম ৫৪, তামিম ইকবাল ৪৪, রাকিম কর্নওয়েল ৫/৭৪, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩/৭০, আলজারি জোসেফ ২/৬০)।
টার্গেট – ২৩১ রান।