ঘরের মাঠ এমিরাত স্টোডিয়ামে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই ডান প্রান্ত থেকে রিয়াদ মাহরেজের ক্রসে ছয় গজ বক্সে লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন স্টার্লিং। চলতি মৌসুমে লীগে ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের এটি নবম গোল। স্টার্লিংয়ের গোলই ম্যাচের শেষ গোল ছিল। তারপর দুদল বেশকিছু সুযোগ তৈরী করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে চলতি মৌসুমে টানা ১১টি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নিয়ে বাড়ি ফিরে ম্যানচেস্টার সিটি। আর মাত্র একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতলেই প্রিমিয়ার লীগে টানা প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ের রেকর্ড গড়বে পেপ গার্দিওয়ালার দল।
এই নিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে প্রিমিয়ার লীগে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নিল ম্যান সিটি। সব মিলিয়ে লিগে টানা ১৩ ম্যাচ জিতল দলটি। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় জিতল টানা ১৮ ম্যাচ। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে টানা ৮ ম্যাচ হারার তিক্ত স্বাদ পেল আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে ১৯৭৩-১৯৭৬ কেবল লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে টানা ৮টি লীগ ম্যাচ হেরেছিল গানার্সরা। তাছাড়া, এই নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সর্বশেষ ৪ ম্যাচই কোন গোল করতে না পেরে গেরেছে প্রিমিয়ার লীগের একমাত্র ইনভিনসিবল শিরোপা জয়ী আর্সেনাল।
এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ১৮ জয়ে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে আরও এগিয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে দশ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দশ নম্বরে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল।