শুরুর একাদশে ছিলেন না দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। দলও পিছিয়ে ছিলো ১-০ গোলে। বিরতির পর মেসি নামলেন আর চরম নাটকীয়তার ম্যাচে রিয়াল বেতিসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ লা লীগায় টানা পঞ্চম জয় নিয়ে বাড়ি ফিরেছে রোনাল্ড কোম্যানের দল।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে যায় এবং স্বাগতিক রিয়াল বেতিস। ম্যাচের দশম মিনিটে ডান দিক থেকে এমেরসনের বাড়ানো চমৎকার ক্রসে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইগলেসিয়াস। গোলখেয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যায় বার্সেলোনা। তাই আর কোন গোল না হলে এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল বেতিস।
বিরতি থেকে ফিরে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে বার্সেলোনা। আক্রমণের ধার বাড়াতে ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রাংক ডি ইয়ংকে তুলে নিয়ে লিওনেল মেসিকে নামান কোচ কোম্যান। মাঠে মেসির উপস্থিতি টের পেয়েই যেন কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। মাঠে নেমেই খেলার চেহারা বদলে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মাত্র ডান দিকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সের মুখে পেয়ে একটু এগিয়ে বাঁ পায়ের শটে দলকে সমতায় ফেরান ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
কয়েক মিনিট পর এগিয়ে যায় সফরকারীরা। তবে এবার নিজেরা গোল করে নয়। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে ভিক্টর রুইজের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। অবশ্য লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রোনাল্ড কোম্যানের দল। ৭৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাঁ থেকে নাবিল ফেকিরের ক্রসে হেডে সমতা টানেন সেই রুইস। ড্রয়ের অপেক্ষায় রিয়াল বেতিস।
স্বাগতিকদের আশা বুমেরাং করে দিয়ে ম্যাচ অন্তিম মুহুর্তে আবারও এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এবার কাতাল ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন পর্তুগিজ উইংগার ফ্রান্সিসকো ট্রিনকাও।
ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে নিজেদের অধ্যে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পায় ট্রিনকাও। সেখান থেকে জোড়ালো শটে গোল করে বার্সেলোনার জয় নিশ্চিত করেন ২১ বছর বয়সী তরুন এই ফুটবলার।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে ফিরল কাতালান ক্লাবটি। তিনে নেমে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দলের পয়েন্ট অবশ্য সমান ৪৩, ২১টি করে ম্যাচ খেলেছে তারা। দুই ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দিয়েগো সিমেওনির অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।