দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিকেটার তৈরির আতুরঘর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এখান থেকেই উঠে এসেছেন হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহদের মত বিশ্বসেরা ক্রিকেটাররা। আইপিএলের ১৪ তম আসরের নিলামেও আছেন তেমন কিছু আনকোরা প্লেয়ার।
আইপিএলের নিলামে যে ‘আনক্যাপড’ অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা ক্রিকেটাররা রয়েছেন তাঁদের বেছে নেওয়ার পিছনে বড় মঞ্চ, ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফি নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে। যাদের ক্ষমতা আছে বাজিমাত করার। চলুন দেখা নেয়া যাক এমন কিছু ক্রিকেটারদের পরিচয়।
রাহুল গৌলত সিংঃ
ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পছন্দ করেন রাহুল। সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে মাত্র ৫ ম্যাচেই করেছেন ২৮৩ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল অবাক করা ১৭৭।
মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনঃ
একই লিগে এই ব্যাটসম্যানের ১৩৭ রানের ইনিংস নজর কেড়েছে বিভিন্ন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। বাকি ৪ ইনিংসে সেই ভাবে রান করতে না পারলেও ওই একটি ইনিংসই আইপিএলে দল পেতে নিজের সামর্থের পরিচয়টা দিয়ে রেখেছেন।

অভি ব্যারটঃ
মুস্তাক আলী ট্রফিতে অল্পবয়সী প্লেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৮৩ রান এসেছে অভির ব্যাট থেকে। ১৮৫ স্ট্রাইকরেটে ৩২ টি চারের বিপরীতে ১৩ টি ছক্কা হাঁকানো মহারাষ্ট্রের এই ক্রিকেটারের প্রতি যে সবগুলো দলের নজর থাকবে তা বলাই যায়।
কেদার দেওধরঃ
বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা মাত্র, তার আরও একটি উদাহরণ ৩১ বছর বয়সী কেদার। ৩২ এর কোটায় এসেও বুকে লালন করেছেন আইপিএল খেলার। মুস্তাক আলী ট্রফিতে ৩৪৯ রান করা এই ক্রিকেটারের ভাগ্য বদলাতে পারে এই বছরেই। তবে চিন্তার বিষয় তার স্ট্রাইক রেট। তবুও ব্যাক আপ হিসেবে হলেও এই ক্রিকেটারকে দলে নিতে চাইবে যে কোন দল।
চেতন সাকারিয়াঃ
ভারতীয় ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই নেই তেমন প্রমিসিং বামহাতি পেসার। তবে মুস্তাক আলী ট্রফিতে ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট নেয়া এই বোলারকে নিয়ে ইতোমধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

আসন্ন ২০২১ আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। কার ভাগ্য কোনদিকে যাবে জানতে হলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরো এক রাত।
ছবি এবং তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট।