ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং কমলাপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোঃ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেটা অনেক পুরোনো সমস্যা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরির লক্ষ্যে (কক্সবাজার এবং পূর্বাচলে) ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা প্রণয়নও করে ফেলেছে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থটি। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে তো প্রচুর দেরী। তার আগে তো বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছে তারা।
বিপিএল ফুটবল লীগের খেলা আয়োজনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বরাবর আবেদন করে এই মৌসুমে বাফুফে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম এবং মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম দুটি পেয়েছে বাফুফে। কিন্তু লীগের বেশিরভাগ দলই তাদের হোম ভেন্যু করেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে। এদিকে চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের সব খেলাই হচ্ছে কমলাপুরে। এখানে আবার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লীগেরও খেলা হচ্ছে। ফলে ঢাকা ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের ওপর চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বাফুফে এখন চাইছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি ফুটবলের কাজে ব্যবহার করতে। যেটা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে আছে। তবে জল নিস্কাষণে সমস্যায় জর্জরিত এই স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের পর থেকে কোন ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান,
“ফতুল্লা স্টেডিয়ামে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের কিছু খেলা আয়োজনের জন্য এবং ঢাকা-কমলাপুর স্টেডিয়ামের ওপর চাপ কমাতে বাফুফের ফতুল্লা স্টেডিয়ামটি বছরে তিন থেকে চার মাস ব্যবহার করতে আগ্রহী। এই লক্ষ্যে মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কথা বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে কদিন পরেই জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, এখন দেখা যাক কি হয়।”