“দলের এই হারের পুরা দায় আমার নিজের। আমরা কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সহজভাবে দু’টি গোল হজম করেছি। সেট পিচ থেকে দুই গোল হজম করে ম্যাচে ফিরে আসাটা কঠিন কাজ ছিল। যার ফলে বসুন্ধরা কিংস আমাদের মাঠেই হত্যা করেছে।”
ম্যাচ শেষে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেছেন আবাহনী লিমিটেড ঢাকার কোচ মারিও লামোস।
চলতি লীগে টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর অবশেষে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ পেলো আকাশী-নীলরা। এই হারে এগারো ম্যাচে ছয় জয়, চার ড্র ও এক হারে ২২ পয়েন্ট তিন নাম্বারে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে ফেডারেশন কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লীগেও এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকলো বসুন্ধরা কিংস। বারো ম্যাচে এগারো জয় ও এক ড্র তে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ স্থান আরও মজবুত করলো অস্কার ব্রুজেন শিষ্যরা।
আবাহনীকে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে আবারও চার বিদেশীর দুর্দান্ত পার্ফরনেন্স দেখতে পাওয়া গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। আর্জেন্টাইন রাউল বেচাররা দুই এবং খালেদ শাফি ও জনাথন ফার্নান্দেজ একটি করে গোল করেন।
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই আর্জেন্টাইন রাউল বেচাররার গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। রবসন দ্যা সিলভার বাম পায়ের শট আবাহনী ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে সেকেন্ড বারে আঘাত এনে বল ফিরে আসলেও রাউল বেচাররা তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলে পরিণত করেন। এর ঠিক সাত মিনিট পরেই বসুন্ধরাকে দ্বিতীয় বারের মত এগিয়ে নেন খালেদ শাফি। রবসনের কর্ণার থেকে হাওয়ায় ভেসে আসা বল ফ্লিক শটে সোহেলকে ফাকি দিয়ে গোল করেন এই ইরানী ডিফেন্ডার।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে গোল থেকে বঞ্চিত হতে হয় আবাহনীকে। রাফায়েল অগোস্তোর ফ্রি কিক থেকে ফ্রান্সিসকো তোরেস হেড করলেও তা সাইড বারে লেগে ফিরে আসে।
আবাহনী গোল করতে ব্যর্থ হলেও বিরতি থেকে ফিরার ৬ মিনিটের মাথায় বসুন্ধরা কে এগিয়ে নেন আরেক ব্রাজিলিয়ান জনাথান ফার্নান্দেস। রাউল বেচারার বাড়ানো পাস ডি-বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের শটে গোলে পরিণত করেন। চলতি লীগে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেলেন এই ব্রাজিলিয়ান।
তিন গোলে এগিয়ে গিয়েও যেন স্বস্তি পাচ্ছিলো না বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা। যার ফলে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে জনাথন ফার্নান্দেজের বাঁকানো ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করেন রাউল বেচাররা। চলতি লীগে এটি রাউলের এগারো তম গোল।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্বান্তনাসূচক এক গোল পায় আবাহনী। ইরানী ডিফেন্ডার খালেদ শাফি হাইতিয়ান বেলফোর্টকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে সফল ভাবে জিকোকে পরাস্ত করেন বেলফোর্ট।
এই ম্যাচের আগে আরও চার বার মুখোমুখি হয়েছিল এই দু’দল। যেখানে বসুন্ধরা কিংসের জয় তিন ও আবাহনীর জয় মোটে এক। ২০১৮ সালের ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরাকে ৩-১ গোলে হারায় আবাহনী, এরপর ২০১৮-১৯ মৌসুমে লীগের দুই ম্যাচে ১-০ ও ৩-০ গোলে হারানোর পর চলতি মৌসুমে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে ৩-১ গোলে জয় পায় বসুন্ধরা কিংস।