২৩১ রান, উপমহাদেশের কন্ডিশনে মোটেও সহজ কোন লক্ষ্য নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। তবে সেটা অসম্ভব কিছুও নয়। যখন উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৯ রান এসে যায়, শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটিং দৃঢ়তা শুধু আক্ষেপই বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় ইনিংসেই শুধু নয়, প্রথম ইনিংসেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে বড় লিড পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে গিয়েও বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের জবাবে মাত্র ৭১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে ফলো-অন এড়াতে পারলেও সবচেয়ে ১১৩ রানের লিড পেয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। আর সেটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, উইকেটের আচরণও অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
তামিম ইকবাল দেশসেরা তো বটেই, বর্তমান বিশ্বেরই অন্যতম সেরা ওপেনারদের একজন। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৫০ রান, দুই ইনিংসেই সেট হয়েও আউট হয়ে গেছেন। দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও, প্রথম ইনিংসে তার আউট নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছে।
সবচেয়ে এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়াও সৌম্য, মুমিনুল, মিথুন, লিটনরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চাপের মুখে সেই অভিজ্ঞতার ছিটেফোঁটারও দেখা মিলেনি, উল্টো আরও বাজে ভাবে আউট হয়ে চাপ বাড়িয়েছেন; হারিয়েছেন ম্যাচও।
টেস্ট দলের সবাই কম-বেশি অভিজ্ঞ, নতুন মুখ বলতে ব্যাটিংয়ে কেউই নেই। সেই কথা উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “খেলোয়াড়দের অ্যাপ্রোচ বলেন, স্ট্রাটেজি বলেন আমার কাছে মনে হয় যে…। যে জিনিসটা অভিয়াস সবাই মনে করে আপনারাও মনে করেন আপনারও তো এত বছর ধরে খেলা দেখেন । আপনারা যেটা ভাবেন যে এটা হওয়া উচিত এটাও হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “এটা ব্যাটসম্যানকে তো আমি, একটা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, বোলার, আমাদের বাংলাদেশর টপ যারা নামকরা বিশ্বমানের তাদেরকে এখন বলে দিতে হবে টেস্টে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে? এগুলো তো বলে দেয়ার কথা না।”
ঢাকা টেস্টে ১৭ রানে হেরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে পয়েন্ট প্রাপ্তির আশা করা হচ্ছিলো সেটা ধুলোয় মিশে গেছে। সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে পয়েন্ট শূন্য অবস্থায় থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করারও।