কক্সবাজারে বসেছে সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাক্তন সব ক্রিকেটাররা আবারও ব্যাট-বল হাতে বাইশ গজে ফিরেছেন। প্রথম দিনে ব্যাটে-বলের নৈপুণ্য শিরোনামে ছিলেন মোহাম্মদ রফিক। শুক্রবার ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আলো কেড়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
৮৯ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে একবারই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবে দেখা গেছিলো খালেদ মাহমুদ সুজনকে। মেহরাব হোসেন অপির সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে সেবার গ্লেন ম্যাকগ্রা-ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের দাপুটে পেসের সামনে ১৯ বল টিকে করেছিলেন ৬ রান।
সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনে কক্সবাজারের সাবেক টাইগার ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ আবারও দেখা গেল ওপেনার খাদেল মাহমুদকে। আজ অবশ্য ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।
এরপর বোলিংয়ে এসে আবারও চমক দিলেন ‘ফাইটার সুজন’। চিরচেনা মিডিয়াম পেস ছেড়ে পুরোদস্তুর অফস্পিনার বনে গেলেন, আসলো সাফল্যও। জাদুবে স্ট্রাইকার্সের হুমায়ুন কবিরকে করেছেন বোল্ড। এরপর দুই এক পা দৌড়ে চিরচেনা সেই মিডিয়াম পেসেও নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। জুয়েল হাবিবি ফিরেছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে।
এক্সপো রেইডার্সের আইকন এবং অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন ২ ওভার বলে করে মোটে দিয়েছেন ৮ রান উইকেট দুটি। তার দলও জয় পেয়েছে ৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তবে আন্তজার্তিক ক্রিকেটে না হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগেও অফ স্পিন করেছেন সুজন, ম্যাচ শেষে নিজেই জানালেন সে কথা। এমনকি রাজশাহীতে অফ স্পিনে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তিও আছে তার।