জাতীয় দলে থাকা অবস্তায় নাসির হোসেনকে নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। ক্রিকেট ছাপিয়ে মাঠের বাইরেই বেশি আলোচিত ছিলেন ক্রিকেটের এই ‘ব্যাড বয়’। সাম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন তামিমা নামের রক নারীকে। আর বিয়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ মিডিয়ায় আলোচনার হট টপিক নাসিরের বিয়ে।
বিয়ের পর থেকেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে তামিমের এর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল এবং সেখানে একটি ৮ বছরের শিশু সন্তানও রয়েছে। তবে নাসির সবকিছু জেনে শুনেই বিয়ে করেছেন, যেটি তামিমার আগের স্বামীর সাথে হওয়া ফোনালাপে নাসির স্বীকার করেছেন।
এ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। বিপত্তি বেধেছে তামিমা তার আগের স্বামীকে আইনানুগ ভাবে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করা নিয়ে। সাম্প্রতি নাসিরের সাথে হওয়া তামিমার আগের স্বামী রাকিবের ফোন ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসছে এমন খবর। পাশাপাশি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাকিব জানিয়েছেন নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কি কারণে তামিমা স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন।

রাকিব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের বিয়ের একটা সময় আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে কুমন্ত্রণা দেওয়া শুরু করল যে, তুমি এখন এয়ার হোস্টেজ; আর তোমার স্বামী একটা শো রুমের ম্যানেজার মাত্র। তোমাদের স্ট্যাটাস তো মিলে না। এভাবেই আস্তে আস্তে তামিমা দুইদিক ঠিক রাখতে লাগলো। তার একটা বয়ফ্রেন্ডও ছিল; নাম অলক। আমি বিষয়টা জানতে পেরে তাকে সাবধান করি। এরপর সে আমার কাছে মাফ চেয়ে বলে, ওর সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। এমন আর হবে না। আমিও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে মাফ করে দেই।”
তিনি আরও বলেন, “এসব ঘটনার পর থেকে তার মা আমাকে সহ্য করতে পারছিল না। আমি উপায় না দেখে মেয়েকে তার কাছে রেখেই আলাদা বাসা নিলাম। সকাল-সন্ধ্যা মেয়েকে গিয়ে দেখে আসতাম। ও চাকরি থেকে আসলে ওর মায়ের বাসায় উঠতো। আমার বাসাতেও আসতো। আমরা হোটেলে মিট করতাম, রেস্টুরেন্টে খেতাম, আমার ভাইয়ের বাসায় যাইতাম। আমার বাসায় এসে থাকতো আমার সাথে। লকডাউনের আগে সে ১৫ দিনের ছুটিতে দেশে আসলো। তখন তার মা তাকে বের হতে দিত না। মেয়েটা ফোন করলে বলতো, ব্যস্ত। আমার বা তার মেয়ের প্রতি তার কোন অনুভূতি ছিল না।”
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপ সম্পর্কে রাকিব বলেন, “এভাবে চলতে চলতে এক সময় ১৪ তারিখ দেখি তার একটা বিয়ের ভিডিও ক্লিপ। সে কবে দেশে আসছে তাও জানি না। আমি তো ভিডিও দেখে অবাক! এটা নিয়ে আমি ১৬ তারিখে একটা জিডি করলাম। জিডি করার পরে এইটা সবাই জানতে পারলো। তখন আমার ভাইকে নিয়ে একজন সাংবাদিক আমার শাশুড়ির বাসায় গিয়েছিল। তখন তিনি বলেন, ‘রাকিব কে? আমি কোন রাকিবকে চিনি না।’ সাংবাদিক ছবি দেখানোর পর তিনি নাসিরকে কল করেন। এরপর নাসির আমাকে ফোন করে। সেই অডিও ক্লিপ আমি মিডিয়ায় দিয়েছি।”
সময় টিভির নিউজ অনুসারে, রাকিব হাসান ও তামিমার কাবিননামায় দেখা যায় ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। তবে এ বিষয়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার নাসির বা তামিমার পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি।