লাহোরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সমতায় ফিরেছিল প্রোটিয়া। ফলে তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিণত হয় অলিখিত ফাইনালে। সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
আট ওভারেই ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস, শেষ পর্যন্ত ডেভিড মিলারদের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষে থামে ১৬৪ রানে।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে এসে পাকিস্তানি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানো সফরকারীরা দ্বিতীয় উইকেট হারায় ২৪ রানে। প্রথমে রেজা হেনড্রিক্স এবং পরে স্মুটস, দুজনকেই ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ। এরপর জানেমান মালান এবং পিট ভ্যান কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু ৪১ থেকে ৪৮ রানেই আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।
১৬ রান করা পিটে ভ্যানকে ফেরান হাসান আলী। আর নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করা প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরি ক্লাসেন এবং ওপেনার জানেমান মালানের উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত জাহিদ মাহমুদ। আর দুই রান পরেই অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইওকে ফেরান আরেক লেগস্পিনার উসমান কাদির।
৮ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ বিপাকে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ডেভিড মিলার এবং ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস ১৭ রানের জুটি গড়েন। ১১তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন অভিষিক্ত জাহিদ মাহমুদ। দলীয় ৬৫ রানে এই লেগ স্পিনারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন প্রিটোরিয়াস।
তবে অষ্টম উইকেটে ডেভিড মিলার এবং ফরটুইনের পার্টনারশিপে শতরানের গন্ডি পার করে প্রোটিয়ারা। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান যোগ করার পর ফরটুইন দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যায় ডেভিড মিলার। ৩১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করা মিলার, শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৮৫* রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ ছয় আর ৫ চারে তার অনবদ্য ইনিংস সাজিয়েছিলেন এই বামহাতি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ১৬৪/৮, ২০ ওভার; মিলার ৮৫*, মালান ২৭; জাহিদ ৩/৪০।
টসঃ পাকিস্তান।