ছবিঃ ইন্টারনেট। পুরা ম্যাচে ২৮ বার গোলের উদ্দেশ্যে শট করে ১১ বার অন টার্গেট রাখলেও লেভান্তে গোলকিপার দানি কারদেনাসকে পরাস্ত করতে পারেনি সুয়ারেজ, ফেলিক্সরা।
২৩ বছর বয়সী এই গোলকিপারের দুর্দান্ত পার্ফরমেন্সের কারণেই অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ কে হারালো লেভান্তে। জোয়াও ফেলিক্সের দুর্দান্ত ভলি গোল মুখ থেকে অসাধারণ ভাবে ফিরিয়ে দিয়েই লেভান্তের জয় নিশ্চিত করে দানি কারদেনাস।
তবে এ দিন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হারার অন্যতম কারন গোল পোস্ট। লুইস সুয়ারেজের ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট গোলকিপারকে ফাকি দিলেও ফাকি দিতে পারেনি গোল পোস্টকে।
অ্যাথলেটিকোর আক্রমণ রুখে দেওয়ার পর সুযোগ পেলেই কাউন্টা আক্রমণে যায় লেভান্তে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। যার ফলে ৩০ মিনিটেই লেভান্তে কে এগিয়ে নেয় মোরালেস। প্রথম গোলের দেখা পাওয়ার পর আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল মোরালেস কিন্তু তার নেওয়া শট ডিফেন্ডার ফেলিপের পায়ে লেগে বলের গতিবেগ পালটে গেলে তা আর গোলে পরিণত হয়নি।
তবে ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে লেভান্তের হয়ে গোল করেন ডি ফ্রুটস। ম্যাচে পিছিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তে কর্ণার পায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, শেষ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য গোল পোস্ট ছেড়ে আক্রমণে উঠে যায় জান ওব্লাক। এই সুযোগে কাউন্টার আক্রমণে মাঝ মাঠের সামান্য সামনে থেকে ডান পায়ের শটে ফাঁকা পোস্টে বল জড়ান ডি ফ্রুটস।
এই প্রথম লা লীগায় অ্যাথলেটিকোর মাঠে জয় পেলো লেভান্তে। নিজেদের ঘরের মাঠে সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল দিয়েগো সিমিওনের দল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী নিজেদের শেষ ম্যাচে এই লেভান্তের সাথেই ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছিল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। আজ আবারও লেভান্তের কাছেই পয়েন্ট হারিয়ে কিছুটা হলেও জমে উঠলো লা লীগা।
অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের এই হারে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাত ছানি দিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার। আজ রাতে যদি ভ্যালেদোলিদকে হারাতে পারে তবে এক ম্যাচ বেশি খেলে তিন পয়েন্টে পিছিয়ে থাকবে জিদান শীষ্যরা। অন্যদিকে ২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নাম্বারে বার্সেলোনা। আর ২৩ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।