প্রিমিয়ার লীগে দুদলই সমান ২৩টি করে ম্যাচ খেলেছে। ২৩ ম্যাচে ১৩ জয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিনে আছে ব্রেন্ডন রজার্সের লেস্টার সিটি। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ১১ জয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ চারে আছে লিভারপুল। যদিও সর্বশেষ দু ম্যাচে টানা হেরে ব্যাকফুটে রয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে ৩ ম্যাচ হেরে অলরেডরা পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে কেবল ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে লেস্টার সিটি ১ ম্যাচ হারলেও সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে পয়েন্ট সংগ্রহ করে ৮টি।
চলতি মৌসুমটা ভালো না গেলেও লেস্টারের ঘরের মাঠে সর্বশেষ তিন ম্যাচই জয় নিয়ে বাড়ি ফিরেছে লিভারপুল। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে। তাছাড়া ফক্সদের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগে সর্বশেষ ১৭ ম্যাচে মার্সেসাইডের ক্লাবটির জয়সংখ্যা ১২; হার মাত্র ২টি। মজার বিষয়, লেস্টার সিটি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে সর্বশেষ বিশ ম্যাচের ১৬টিই হেরেছে। ঘরের মাঠে ৬৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর টানা তিন ম্যাচ হারলেও লিভারপুলের সামনে সুযোগ রয়েছে চলতি মৌসুমে প্রথমবার টানা তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয় নিয়ে বাড়ি ফেরার।
দুদলেরই ইঞ্জুরির বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। আর চলতি মৌসুমে এমনিই ইঞ্জুরি লিভারপুলের নিত্যদিনের ঘটনা। এবারও লেস্টারের বিপক্ষে নামার আগে হারিয়েছে দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ফ্যাবিনহোকে। তাছাড়া নাবি কেইতা, দিয়াগো জোতা, ভ্যান ডাইক, গোমেজ ও জোয়েল ম্যাতিপরা যথারীতি থাকছেনা আজকেও।
এফএ কাপে ইঞ্জুরিতে পরে পুরো মৌসুমের জন্য লেস্টার থেকে ছিটকে লড়ছে জেমস জাস্টিন৷ আয়োজি পেরোজকেও হয়তো বেঞ্চে বসে থাকতে হবে। যদিও উইলফ্রেড দিদির মাঠে ফেরা স্বস্তি দিবে স্বাগতিকদের। তাই বলা যায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফুটবল প্রেয়সীদের জন্য রোমাঞ্চকর একটি ম্যাচ অপেক্ষা করছে কিং পাওয়ার স্টোডিয়ামে।
এদিকে দিনে অন্য খেলায় ইত্তিহাদে টেবিল লীডার ম্যানচেস্টার সিটিকে আতিথ্য দিবে হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম হটস্পার্স। মৌসুমের শুরুর ছন্দপতন কাটিয়ে আগুন ঝরানো ফর্মে আছে সিটিজেনরা। প্রিমিয়ার লীগে টানা দশ ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পেপ গার্দিওয়ালার দল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে টানা অপরাজিত ম্যানচেস্টারের দলটি। আর শুরুতে দারুণ ফর্মে থাকলেও সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে তিন ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে রয়েছে মোরিনহোর টটেনহ্যাম। ২২ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার আট নম্বরে আছে স্পার্সরা। আজকের ম্যাচ জিততে পারলে সুযোগ আছে শীর্ষ চারে উঠার। তাই এই সুযোগ নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবে না সন-কানরা।