ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে শেষ তিন ম্যাচেই হারের মুখ দেখে হাঙ্গেরিতে পৌছায় লিভারপুল। লীগের এই বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে এই ম্যাচে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছু ভেবেছিলেন না লিভারপুল বস ক্লপ। মাঠের বাজে পার্ফরমেন্সের সাথে ছিল দলের মূল খেলোয়াড়দের ইঞ্জুরির সমস্যা। তবে এত সমস্যার মধ্যে সুখকর এক স্মৃতি নিয়েই মাঠে নামে লিভারপুল।
জার্মানীর কোন দলের সাথে শেষ পাঁচ দেখায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়েই লেইপজিগের মুখোমুখি হয় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। লেইপজিগের বিপক্ষে প্রথম বারের মত মুখোমুখি হয়েই মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানের গোলে দুর্দান্ত জয় পেলো অলরেডরা। সালাহ ও মানের দুই গোলে লেপজিগের ডিফেন্ডারদের অবদান কম ছিল না। তাদের ভুলের কারণেই সুযোগ কাজে লাগায় লিভারপুল।
প্রথমার্ধে দু’দল গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগ গুলা গোলে পরিণত করতে পারেনি। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোল থেকে বঞ্চিত হয় লেইপজিগ, স্প্যানিশ দানি ওলমোর হেড সাইড বারে লেগে ফিরে আসে।
লিভারপুলের তিনি ফরোয়ার্ড সালাহ,মানে ও ফিরমিনহোকে বগল বন্দি করে রাখে লেইপজিগ ডিফেন্ডাররা। যার কারণে গোছানো আক্রমণও গোলে পরিণত করতে পারেনি লিভারপুল ফরোয়ার্ডরা। প্রথমার্ধে লিভারপুলকে আটকে রাখলেও বিরতি থেকে ফিরে আর রক্ষা করতে পারেনি লেইপজিগ ডিফেন্ডাররা। ৫৩ মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। লেইপজিগ ডিফেন্ডার ক্যাম্পলে ভুল পাস ধরে মোহাম্মদ সালাহ একক প্রচেস্টায় গোলকিপার গুলাসকি কে ফাকি দিয়ে বল জালে জড়ান। এবার চ্যাম্পিয়নস লীগে ৭ ম্যাচে সালাহর এটি চতুর্থ গোল।

ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আবারও লেইপজিগ ডিফেন্ডার মুকিয়েলের ভুল করে বসেন। কার্টিস জোনের বাড়ানো লম্বা পাস মুকিয়েল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় ফাঁকা জায়গা বল পেয়ে যান সাদিও মানে। সেখান থেকে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন এই সেনেগালিজ উইঙ্গার।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে নেগেলসম্যানের শিষ্যরা। বেশ কয়েকবার লিভারপুলের ডিফেন্সে কাঁপন ধরালেও কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পায়নি।
তবে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে দারুন সুযোগ তৈরি করেছিল লেইপজিগ কিন্তু হোয়াং হি চানের শট গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচ শেষে লিভারপুল অধিনায়ক হ্যান্ডারসন জানান,
“আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল তবে জয় পেয়ে দারুণ লাগছে। লেইপজিগের উপর আমরা চান্স ক্রিয়েট করেছি যেটা পজিটিভ দিক ছিল। আমরা সব সময় মাঠে প্রতিরোধ গড়তে চাই। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না।”
রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ২য় লেগে আগামী ১১ই মার্চ রাত দুইটায় লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে লড়বে দুই দল।