হারলেও ঘরের মাঠে গোলের খেরোখাতা শুরু করে স্বাগতিক সেভিয়াই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সুসোর শটে বল ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলসের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৯তম মিনিটে অসাধারণ এক গোলে সমতা ফেরান দাহুদ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান মিডফিল্ডার।
৮ মিনিট পর সফরকারীদের এগিয়ে দেন আর্লিং হ্যালান্ড। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সের মাথায় জেডন স্যানচোকে পাস দিয়ে দ্রুত ভেতরে ঢুকে পড়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নরওয়ের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে আবারও গোল করে ব্যবধান বাড়ান হ্যালান্ড। মার্কো রয়েসের পাস থেকে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সর্বোচ্চ দশম গোল করে সফরকারীদের আনন্দে ভাসান গেল বছর রেডবুল থেকে ডর্টমুন্ডে আসা এই ফুটবলার। সব মিলিয়ে এই নিয়ে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ১৩ ম্যাচে হ্যালান্ডের গোল হলো ১৮টি।

বিরতির পর কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে ডর্টমুন্ড। বেশকিছু ভালো সুযোগ তৈরি করলে সেগুলি গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। উল্টো খেলা শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে গোল খেয়ে বসে জার্মান জায়ান্টরা। অস্কার রদ্রিগেজের পাস থেকে সেভিয়ার হয়ে গোল করে ব্যবধান কম ডাচ স্ট্রাইকার লুক ডি ইয়ং। ম্যাচের বাকিসময় আর কোন গোল না হলে ৩-২ গোলের অসাধারণ জয় নিয়ে বাড়ি ফিরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা এগিয়ে রাখলো জার্মান ক্লাবটি। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে না হারলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত ডর্টমুন্ডের। আগামী ৯ মার্চ সিগনাল ইদুনা পার্কে ফিরতি লেগে আবারও মুখোমুখি হবে দল দুটি।