গোলের খাতা লিভারপুলই আরম্ভ করে। ডি-বক্সে ফিরমিনোর দারুণ ব্যাকহিল ফ্লিকে বল পেয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন মিশরের ফরোয়ার্ড সালাহ। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ফের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এলিসন বেকারের ভুলে পস্তাতে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। লেস্টার সিটির মাত্র ৭ মিনিটের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় অলরেডদের ডিফেন্স। ঘরের মাঠ কিং পাওয়ার স্টোডিয়ামে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরলো ব্রেন্ডন রজার্সের লেস্টার সিটি। সেই সাথে লিভারপুলের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারার পর জয় পেল দ্য ফক্সরা।
লেস্টার ঘরের মাঠে শুরুতে আধিপত্য ছিলো সফরকারী লিভারপুলের। পুরো ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩৭ শতাংশের বিপরীতে ৬৩ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে ইয়ুর্গন ক্লপের দল। তবে লেস্টারের গোলবারে ১৫টি শট নিয়ে অন টার্গেট রাখে মাত্র ৪টি। তাই বেশকিছু সুযোগ তৈরি করলেও সালাহ মানেদের ব্যর্থতায় গোলশূন্য ড্র নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

খেলার সব চমক যেন দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বরাদ্দ ছিল। বিরতি থেকে ফিরে সালাহর গোলে লিভারপুল এগিয়ে গেলের দশ মিনিট পর ফ্রিকিকে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরা ম্যাডিসন। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরের পাল্টায় সিদ্ধান্ত। ফ্রি কিকের সিদ্ধান্তটিও এসেছিল ভিএআরের সাহায্যে। রেফারি প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন।
ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুবার ভুল করে দলকে ডুবিয়েছিলেন এলিসন বেকার। এদিন আবারও একই ভুল করে বসেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে লেস্টারের ক্রস ক্লিয়ার করতে ডি-বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি ধাক্কা খান সতীর্থের সঙ্গে। বল পেয়ে এগিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি।
৪ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে লেস্টারের জয় নিশ্চিত করেন হারভি বার্নস। উইলফ্রেড এনডিডির বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলটি করেন এই ইংলিশ উইঙ্গার। বাকিসময় আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের অসাধারণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রেন্ডন রজার্সের দল।
এই জয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টপকে দুইয়ে উঠেছে লেস্টার সিটি। ২৪ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের ৪৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। দু ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটি।