|| ঘরোয়া ক্রিকেট ||
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক তরুণ ক্রিকেটারই বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই দলে স্থায়ীভাবে থিতু হয়েছেন, অনেকে আবার হারিয়ে গেছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে স্বপ্নের মত পারফর্ম করে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেই ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে।
সেখানে অবশ্য হতাশ করেননি। পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একের পর এক সেঞ্চুরি তখন তামিমের পাশে বিজয়কে ভাবা হচ্ছিলো স্থায়ী সমাধান হিসেবে। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপে ইঞ্জুরীর কারণে মাঝপথে বাদ পরবার পর জাতীয় দলেই আর কখনও সুযোগ করে উঠতে পারেননি ধারাবাহিকতার অভাবে।
যে কোন বিশ্বকাপ বা বড় আইসিসি ইভেন্টের আগে সব ক্রিকেটারের দিকে কমবেশি চোখ থাকে। থেকেছে বিজয়ের উপরও। করোনার পর প্রথম ঘরোয়া লিগ শুরু হয়েছে জাতীয় লিগ দিয়ে। সেখানেই খেলতে পারছেননা আনামুল হক বিজয়। সেই ইঞ্জুরী সমস্যা আবারও মাঠের বাইরে রেখেছে তাতে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগের কোচ কাজী ইমদাদুল বাশার (রিপন) ডেইলি স্পোর্টসবিডির সাথে কথা বলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক কিছু নিয়ে। প্রথম পর্বে আজ থাকছে আনামুল হক বিজয় প্রসঙ্গে।
প্রশ্নঃ আনামুল হক বিজয়ের কি অবস্থা? প্রথম ম্যাচে তো খেলেননি তিনি!
ইমদাদুল বাশার রিপনঃ আনামুল হক বিজয়ের হাতের যে অবস্থা তাতে কমপক্ষে তিন রাউন্ড খেলতে পারবে না। কাল এক্স রে রিপোর্ট দেখলাম। বোর্ড থেকে কোনভাবেই ওকে খেলার অনুমতি দিবে না। যে অবস্থা হাতের তাতে প্রথম তিন রাউন্ড তো খেলতে পারবেই না, পরের রাউন্ডও খেলতে পারবে কিনা সন্দেহ।
প্রশ্নঃ বিজয়ের প্রস্পেক্টের সাথে তিনি কিন্তু খুব একটা ভালো করতে পারেননি যেটা সবারই প্রত্যাশা ছিল…..
ইমদাদুল বাশার রিপনঃ হ্যাঁ, আমি তো দুইজন ক্রিকেটারের কথা বলবো যাদের খেলাটা অনেক সোজা। অনেক সহজ করে অ্যাটাকিং খেলার সামর্থ্য রাখে। বিজয় আর মিথুন দুজনেই। মিথুনের ব্যাপারটা পরে বলছি, বিজয় যেভাবে শুরু করেছিল সেভাবে কেন যে ধারাবাহিক হতে পারলো না সেটা আসলেই খারাপ লাগে। এজন্য আমি সবাইকে বলি ফোকাস ধরে রাখতে, ক্রিকেটে আপনি আজ ভালো আছেন তো কাল আপনি হারিয়েও যেতে পারেন যেটার জন্য প্রচুর পরিশ্রম দরকার। আমার মনে হয় ফোকাস আর পরিশ্রমের জায়গাটাতে আমাদের ঘাটতি অনেক বেশি।
প্রশ্নঃ জাতীয় দলে লিটন, সৌম্য এখন ভালো অবস্থায় আছে। বিজয়ের জন্য ফেরা কতটা সম্ভব?
ইমদাদুল বাশার রিপনঃ সম্ভব, সবটাই। কিন্তু অনেক কঠিন। টানা পারফর্ম করলে, রান করলে সুযোগ আসবেই। মিঠুন তো অনেক পরে এসেও টানা সুযোগ পাচ্ছে। ভালো করলে বিজয়ও পাবে তবে পথটা অনেক লম্বা। ওর ভালো স্ট্রাইকে বড় রান করবার সামর্থ্য আছে। ইঞ্জুরী থেকে ফিরে ভালো করলে পরবর্তীতে নজর আসবে ওর উপর।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে শেষবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বিজয়, সেখানে খু্ব একটা ভাল করেননি। সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও বিজয়ের নামের সাথে তার ব্যাট ভালো কথা বলেনি। সামনের পথটা অনেক কঠিন, তবে অভিজ্ঞতা আর সক্ষমতার সাথে একাগ্রতা এনে দিতে পারে সাফল্য যদি বিজয় চান মন থেকে, এমনটাই মনে করেন খুলনার অভিভাবক।