ইউরোপসেরা হওয়ার পণ নিয়ে চার বছর আগে বার্সেলোনা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন প্যারিসে। অনেক সমালোচনা হয়েছিল তাঁর। অনেকে বলেছিলেন, টাকার জন্যই প্যারিস গেছেন নেইমার।সমালোচনাগুলোর জবাব দেওয়া হয়নি। লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজের মতো করে একটা ক্লাবকে ইউরোপসেরা করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের।
তা-ও এমন ক্লাব, নয় বছর আগে কাতারের তেলেধন্য হয়ে ফ্রান্সে ছড়িয়ে ঘোরালেও ইউরোপে যারা এখনও নাদানই। ইউরোপে যারা কূলীন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। যে স্বপ্নের প্রধান সারথি ছিলেন নেইমার।

লিসবনের সে স্বপ্নের জ্বলাঞ্জলি হলো নেইমারের চোখের জলে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চও আরেকবার যেন বুঝিয়ে দিয়েছিল, ইউরোপের কূলীন হতে ঐতিহ্য লাগে। খুব কাছে এসেও নেইমার-এমবাপ্পেদের ফিরতে হলো খালি হাতে। জলমাখা শূন্য দৃষ্টিতে নেইমারদের শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হলো ইতিহাস রাঙানো বাভারিয়ানদের উচ্ছ্বাস।
একবছরেরও কম সময়ে আবারও সে বায়ার্ন বাধার সামনে পড়লো পিএসজি। এবার আর ফাইনাল নয়, ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে টিকে থাকতে হলে কোয়ার্টার ফাইনালেই জার্মান চ্যাম্পিয়নদের টপকাতে হবে ফরাসিদের। এমন দলের সাথে খেলা পড়ে ভয় পাওয়ার কথা ছিল নেইমারদের।

তবে এতে নাকি উল্টো খুশি হয়েছেন নেইমার জুনিয়র। এমনটাই দাবি করেছেন বিখ্যাত সাংবাদিক ইসাবেলা দিয়াস। গতবার ফাইনালে ভালো খেলতে না পারলেও ব্রাজিলিয়ান তারকা এবার নিজের সেরা খেলাটাই খেলবেন বলে বিশ্বাস করেন স্প্যানিশ এই সাংবাদিক। নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এমনটাই জানান বিখ্যাত এই ভিডিও কন্টেন্টর। তিনি বলেন,
“চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে পেয়ে নেইমার খুবই খুশি। কেননা সে এমন ধরনের ম্যাচ খেলতে ভালোবাসে। গতবার ফাইনালে ১-০ তে হেরেছিল, সে তখন নিজের সেরাটা দিতে পারেনি তবে এবার সময় এসেছে তার জন্য!”
চলতি মাসে ইঞ্জুরির কারণে পিএসজির হয়ে এখনও আলো ছড়াতে পারেনি নেইমার। হার্মেস্ট্রিং ইঞ্জুরিতে পড়ে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে শেষ ষোলোয় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে উভয় লীগই মিস করেছেন। যদিও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের নৈপুণ্যে বার্সা বাধা পার হয় প্যারিসের ক্লাবটি। এবার ব্রাজিলিয়ান তারকার উপর গুরু দায়িত্ব পিএসজিকে বায়ার্ন বাধা পার করার। আগামী মাসের ৮ তারিখে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে প্রথম লেগ খেলতে যাবে নেইমাররা।