১৫ই মার্চ ২০১৯ সাল। দিনটি ছিল শুক্রবার। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে তখন সময় দুপুর দেড়টা। ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ সহ নিকটবর্তী আরেকটি মাসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় অস্ট্রেলিয়ার খ্রীষ্টান জঙ্গী বেন্টন ট্যারান্ট। পাখির মত গুলি করে নামাজরত মানুষদের খুন করেন এই নরপিশাচ।
২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টনের লক্ষ্যবস্তু হয় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদ। হামলায় নিহত ৫১ মানুষের মধ্যে আল নুর মসজিদের হামলায় প্রাণহানি হয় ৪৩ জনের। রক্তবন্যা বইয়ে দেন ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ দুটিতে। অল্পের জন্য ভাগ্যক্রমে রক্ষা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কারণ এই মসজিদেই জুম্মার নামাজ পড়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
২ বছর পর আবারও ফিরে এসেছে ১৫ই মার্চ। আবারও বাংলাদেশ আছে সেই নিউজিল্যান্ডেই। সহসাই আলোচনায় চলে এলো সেদিনের ভয়াবহতার গল্প। তামিম ইকবাল ভুলে জাননি সেদিনের সেই দুঃস্মৃতি। অকল্যান্ডের ‘ওয়ান নিউজ’কে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেছেন সেদিনের গল্প।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “তিনি (শুটার) যেখানে থেকে গুলি করেছিলেন সেখান থেকে আমরা ৫০ গজেরও কম দূরত্বে ছিলাম। এজন্যই আমাদের সমস্ত কিছু মনে আছে। মানসিক দিক থেকে আমরা ভিষন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি এবং এই ঘটনার স্মৃতি থেকে বের হতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। কারণ আমরা এতই কাছাকাছি ছিলাম যে সবকিছু ভুলতে পারি না।”
পিছনের দূর্ঘটনার স্মৃতি পিছনে ফেলে আরও একটি সিরিজের সামনে বাংলাদেশ। এত বড় দুর্ঘটনা নিউজিল্যান্ড যেভাবে সামলে উঠেছেন তাঁর জন্য তামিম আগেও প্রশংসা করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর। আরও একবার তামিম নিউজিল্যান্ডের প্রশংসা করে বলেন, “নিউজিল্যান্ড একটি সুন্দর দেশ। এখানের মানুষ খুব সুন্দর। আমাদের একটি খারাপ ঘটনার চেয়ে অনেক বেশি ভাল স্মৃতি রয়েছে নিউজিল্যান্ডে।” তামিম এটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এটি একটি বিছিন্ন ঘটনা এবং এমন ঘটনা যে কোন জায়গায়ই ঘটতে পারে।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজ খেলতে এই মুহুর্তে কুইন্সটাউনে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২০ মার্চ মাঠে নামবে বাংলাদেশ।