ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ইতোমধ্যে নেপালে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। অন্যদিকে আগামী রবিবার নেপালে পৌঁছাবে টুর্নামেন্টের অন্য দল কীরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ স্থগিত হওয়ায় নেপাল এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। এদিকে আফগানিস্তান বাংলাদেশে না আসায় নেপালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
কোভিড-১৯ এর মধ্যেই নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে দর্শক উপস্থিতি থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র কিরন রায়। নেপালের পত্রিকা কাঠমান্ডু পোস্টের বরাত দিয়ে তিনি জানান,
“আমরা আশা করছি এই টুর্নামেন্ট দিয়েই কোভিড-১৯ কে পাশ কাটিয়ে নেপালে আবারো ফুটবলের আমেজ ফিরে আসবে।”
টুর্নামেন্টের প্রতিটা ম্যাচ আয়োজিত হবে কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ১৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা থাকলেও আনফা টিকেট বিক্রি করবে মোট ১২ হাজার। যেখানে ভিআইপি টিকিট কিনতে হলে বাংলাদেশীদের গুনতে হবে প্রায় ১১০০ টাকার মত এবং সাধারণ গ্যালারির জন্য ৫১৫ টাকা। এছাড়াও টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নস দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৫ হাজার ডলার ও রানার্সআপ পাবে ৩ হাজার ডলার। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় পাবে ৫০০ ডলার এবং প্রতি ম্যাচের ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় পাবে ২৫০ ডলার।
ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টের জন্য অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বাজেট এক কোটি রুপি হলেও তাদের যাবতীয় খরচ বাদেই আয়ের প্রত্যাশা প্রায় ৫০ লক্ষ রুপি বলে জানিয়েছেন আনফার মুখপাত্র কিরন রায়।