প্রথম ম্যাচের পাঁচ ও দ্বিতীয় ম্যাচের ছয় ফুটবলার নিয়ে ফাইনালের একাদশ সাজান কোচ জেমি ডে। একাদশে এ ম্যাচে জায়গা পায়নি মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও মাসুক মিয়া জনি। তবে ফিরেছে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া।
প্রথমার্ধের পুরোটাই দাপট দেখায় স্বাগতিক নেপাল। আক্রমণের পসড়া সাজিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখে নেপালি ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো নেপাল কিন্তু বাংলাদেশ গোলকিপার জিকোর দুর্দান্ত সেইভে রক্ষা পেলেও মিনিট খানেক বাদেই আর রক্ষা পায়নি বাংলাদেশ। ডি-বক্সের জটলার মধ্য থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে গোল করেন সানজোগ রায়।

এক গোলে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় নেপাল। ম্যাচের ৩০ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। গোলকিপার জিকোকে পরাস্ত করলেও অঞ্জন বিস্টার চিপ শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় বারের মত লিড পায় নেপাল। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে নেপালকে এগিয়ে নেন বিশাল রাজ। ফলে ২-০ গোলের লিডে বিরতিতে যায় নেপাল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে ফেরার প্রাণ-পোণ চেষ্টা চালায় জেমি ডের শিষ্যরা। কিন্তু গোছালো আক্রমণের অভাব দুর্ভেদ্য গোলের দেখা পায়নি জামাল-মতিন মিয়ারা।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে জামালের কর্ণার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। ফলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। শেষ ১০ মিনিটে বেশ কয়েকটা আক্রমণ করলেও আর গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার ছয় বছর নেপালের মাটিতে আরও একটি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের।