ত্রিদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে কিরগিজিস্তানকে হারিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বাকি দুই দল নেপাল ও কিরগিজিস্তানের পয়েন্ট ছিল সমান ১। তাই বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি শুধু নিয়মরক্ষার হলেও নেপালের জন্য ছিল ডু অর ডাই ম্যাচ। সফরকারীদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে শুধু ১ পয়েন্ট তুলে আনতে পারলে স্বাগতিকদের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে।
ঘরের মাঠে তাই করেছে নেপাল। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে নিজেদের মাঠে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্বাগতিকরা । ফলে আগামী ২৯ মার্চের ফাইনালেও মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-নেপাল।
নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ, এই দু ম্যাচে কোন গোলও হজম করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। একই চিত্র স্বাগতিক নেপালেরও!

তাছাড়াও নেপালের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ড্র করলো বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচ হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।
আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এদিন ফাইনালের জন্য নেপালের বিপক্ষে দল নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। কিরগিজিস্তানের বিপক্ষে খেলা আগের ম্যাচের এগারোজনই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ছিলেন না শুরুর একাদশে।

অবশ্য এই অনভিজ্ঞ একাদশ ভুগিয়েছে সফরকারীদের। দলে ব্যাপক পরিবর্তন আনার ফলে শুরুতেই নেপালের আক্রমণের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত থেকে ত্রিদেব গুরুর ক্রসে অঞ্জন বিস্তা হেডে গোল করতে পারেননি। এই ফরোয়ার্ডের করা হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
নেপালের আক্রমণ ঠেকিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে সফরকারীরা প্রথমবার সুযোগ পায়। নেপালের ডি বক্সে মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহকে ফেলে দিলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি।
এর ২ মিনিট পরই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিকে মানিক মোল্লা ঠিকঠাক শট নিতে ব্যর্থ হন। একটু পর একটু পর জামাল ভূঁইয়ার দূরপাল্লার ফ্রি কিক অল্পের জন্য যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। দুদলের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলহীন।

বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় জেমি ডে’র শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালের ডি বক্সে একচেটিয়া আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে বিপলুর ছোট পাস ধরে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস করে নেপালের ডিফেন্সে। এবারও ঠিকঠাক হেড করতে ব্যর্থ হয় আব্দুল্লাহ।
ম্যাচের বাকিসময় দুদলই আরও কিছু সুযোগ তৈরি করলেও, আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় কেউই গোল করতে পারিনি। ফলে বাংলাদেশের কল্যাণে নিজেদের মাঠে ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতার জায়গা পায় নেপাল।