পিএসএলে ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হওয়া শারজিল খানের পাকিস্তান জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, নিষিদ্ধ হওয়া একজনকে জাতীয় দলে ফেরানোটা মানে ফিক্সারদের মদদ দেয়া। এদিকে শারজিলের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পিছনে উপর মহলের কারও সুপারিশ থাকতে পারে বলেও আঁচ করেছেন অনেকেই।
সম্প্রতি পাকিস্তানে একটি গুজব বেশ ভালোমতই ছড়িয়ে পড়েছে যে, শারজিল খানের জাতীয় দলে ফেরার পিছনে পকিস্তানী গ্রেট ওয়াসিম আকরামের হাত আছে। তাঁর সুপারিশেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ছেন শারজিল। অবশেষে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। এমন অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে জনিয়েছেন, খেলোয়াড়ের নির্বাচনের জন্য কাউকে চাপ দেওয়ার সময় নেই তাঁর।
শনিবার একটি ইভেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিংবদন্তি এই পেসার বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় আমার এতটা সময় আছে যে আমি মোহাম্মদ ওয়াসিমকে (পিসিবির প্রধান নির্বাচক) ফোন করে নির্দিষ্ট খেলোয়াড় বাছাই করতে বলবো? আমার হাতে এত সময় নেই। আমি পাকিস্তান দল বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাথেও জড়িত নই, সুতরাং এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। আমার যদি এতটা প্রভাবই থাকতো তাহলে তো ভালই হতো।”
শারজিল খানের মত মারমুখি প্লেয়ার পাকিস্তান দলে অন্তর্ভূক্তি হওয়াটা ভালো বিষয় মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। তবে তাঁর ফিটনেস নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
“সার্বক্ষণিক বায়ো সিকিউরড পরিবেশে আপনার ফিটনেস উন্নত করা কঠিন। তিনি (শারজিল) ম্যাচ উইনার এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত স্কিল তাঁর রয়েছে। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দিকে তাকালেই আপনি এটি বুঝতে পারবেন। তাকে তার ফিটনেসটি উন্নতি করতে হবে এবং পিএসএল চলাকালীন শারজিল আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর দু’মাসের মধ্যেই তিনি এ নিয়ে অনেক কাজ করবেন।” যোগ করেন ওয়াসিম।
শারজিল খানকে দলে নেয়ায় পিসিবির প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমের প্রশংসাও করেছেন ওয়াসিম আকরাম। আকরাম জানিয়েছেন, শারজিলকে দলে অন্তর্ভূক্তি করিয়ে সে যোগ্য ব্যাক্তির পরিচয় দিয়েছেন। তবে শারজিলের ফিটনেসের কারণে তাকে পছন্দ নয় হেড কোচ মিসবাহ উল হক এবং অধিনায়ক বাবর আজমের।
এই বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “মোহাম্মদ ওয়াসিম এই কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি। তিনি গত তিন-চার বছর ধরে কোচিং করিয়ে আসছেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে যা কিছু ঘটছে সে সম্পর্কে তিনি খুবই অবহিত। অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচকদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর।”