দীর্ঘ ৮ বছর ১ম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার পর ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দ্বারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে মিঠুনের। এর চার মাস পর ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ওয়ানডে ক্রিকেটে সুযোগ হয় মিঠুনের।
অভিষিক্ত তাসকিনের ৫ উইকেটে ১০৫ রানে ভারতকে অল আউট করলেও বাংলাদেশ ওই ম্যাচে গুটিয়ে যায় ৫৮ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ (২৬) রান করেন মিঠুন।
২০১৪ সালে ওই একটা ওয়ানডে খেলেই ওয়ানডে দল থেকে এক অজানা কারণে বাদ পড়ে যান মিঠুন। তবে, ২০১৬ সালে ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও নিজ যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেননি। যদিও, বিপিএল ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন (আছেন) মিঠুন।
দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফের ওয়ানডে দলে সুযোগ হয় তার। এরপর মিঠুন সুযোগ পান এশিয়া কাপের দলেও। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬৩ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে নিজের জানান দেন!
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মাঝে সব থেকে বেশী ১ম শ্রেণীর ম্যাচ (৮৮)খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় মিঠুনের। প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ রান করেন মিঠুন!
এর পর থেকেই জাতীয় দলের ছায়া হয়েই আছেন মিঠুন! বলতে গেলে মিডল অর্ডারে বা লোয়ার অর্ডার যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য বিকল্প অপশন তিনি। অর্থাৎ, জাতীয় দলের জন্য অটো চয়েজই বলা যায় মিঠুন কে।
এই নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা আছে! তবে তাকে কাছ থেকে দেখা মানুষরাই জানেন, মিঠুন কতটা পরিশ্রমী ক্রিকেটার। তরুনদের থেকে তো এগিয়েই, অনেক সিনিয়রদের থেকেও বেশী নিবেদিত ক্রিকেটার মিঠুন! তাই, কোচ, নির্বাচক, ম্যানেজমেন্টেরও প্রিয় মিঠুন। যেকোন পজিশনে, যেকোন সময়, যে কোন পরিস্থিতিতে মিঠুন নিজেকে এগিয়ে রাখেন।
তবে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এখনও নিজেকে তেমন প্রমাণ করতে পারেনি মিঠুন; সেই ক্ষেত্রে ওয়ানডে ক্রিকেটে কিছুটা উজ্বল তার ক্যারিয়ার! তবে আপনাকে মানতেই হবে এখনও, মিডল অর্ডারে বিকল্প ক্রিকেটার হিসেবে মিঠুনের থেকে বেস্ট অপশনের এখনও দেখা মেলেনি……
যাইহোক, একটা বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করেই মিঠুন কে সামনে তুলে আনা। ১৯৯১ সালের ২ মার্চ অর্থাৎ আজকের এই দিনে কুষ্টিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ মিঠুন আলী।