আহমেদাবাদে সিরিজের চতুর্থ এবং শেষ টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮৯ রানের লিড নিয়েছে ভারত, হাতে আছে এখনও ৪ উইকেট। প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭ উইকেট ২৯৪ রান।
২৪/১ দিন শুরু করা ভারত, দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই চেতেশ্বর পূজারা এবং বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। দলীয় ৪০ রানে ১৭ রান করে জ্যাক লিচের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন চেতেশ্বর পূজারা। এ নিয়ে ৪ বার এই অফ স্পিনারের শিকার হলেন ভারতীয় ‘নাম্বার থ্রি’।
এর মাত্র ১ রান পরেই শূন্য রানে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বেন স্টোকসের বাউন্সারে উইকেটের পিছনে বেন ফোকসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে মাত্র দুইবার একই টেস্ট সিরিজে দুইবার ‘ডাক’ মারলেন কোহলি। ২০১৪ সালেও এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই দুই টেস্টে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ভারতীয় কাপ্তান।
এরপর চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় ৮০ রানে ফিরেছেন অজিঙ্কা রাহানে। ভারতীয় সহ-অধিনায়ককে আউট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার এবং তৃতীয় পেসার হিসেবে ৯০০ উইকেট শিকারের রাজকীয় মাইলফলক স্পর্শ করেছেন জেমস অ্যান্ডারসন।
দলীয় ১২১ রানে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে বেন স্টোকসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রোহিত শর্মা। এরপর রবিচন্দ্রন ১৩ রান করে জ্যাক লিচের দ্বিতীয় শিকার হলে ১৪৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তবে সপ্তম উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন রিশাভ পান্ত। এ দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১১৯ রান।
দলকে বিপদমুক্ত করে দূর্দান্ত এক ইনিংস খেলে রিশাভ তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত জেমস অ্যান্ডারসনের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে খেলেন ১১৮ বলে ১০১ রানের দূর্দান্ত ইনিংস। তার এই ইনিংসে ছিল ১৩ চার আর ২ ছয়। আর দিন শেষে ৬০* রানে অপরাজিত আছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।