বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে নেই সাকিব আল হাসান। নেই মাশরাফি বিন মর্তুজার মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ম্যাশ নিজেও জানেন সাকিবের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছাড়া নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন কন্ডিশনে জেতা কতটা কঠিন। তবুও নিরাশ হচ্ছেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের উপর থেকে অতিরিক্ত চাপ কমিয়ে তাদেরকে স্বাধীনভাবে খেলতে দিলে সাফল্য আসবে।
বাংলাদেশের সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ছিলেন মাশরাফি। অধিনায়কও ছিলেন তিনিই। একাধিকবার নিউজিল্যান্ড সফর করার ফলে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন অচেনা নয় তার। বাংলাদেশ দলের সামর্থটাও হাতের তালুর ন্যায় চেনা।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে অতিথি হয়ে যাওয়া মাশরাফি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরের আদ্যপ্রান্ত। মাশরাফি বলেন,
“আমরা সবাই জানি, নিউজিল্যান্ড খুবই কঠিন (প্রতিপক্ষ) । সঙ্গে সাকিব নেই, খুবই কঠিন হবে (জেতা)। তবে যাওয়ার আগে যে মানসিকতা ওরা দেখিয়েছে, যেভাবে কথা বলেছে, সেসব খুবই ইতিবাচক। আমার বিশ্বাস, দল ভালো করবে। কিন্তু, আমার মনে হয় না দলকে অপ্রয়োজনীয় চাপ বেশি দেওয়া উচিৎ।”
নিউজিল্যান্ড এমনিতেই কঠিন জায়গা তার উপর খেলোয়াড়দের উপর প্রত্যাশার চাপ আকাশ সম। এই চাপই খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সের উপর প্রভাব ফেলছে। মাশরাফি মনে করেন সবাইকে যদি স্বাধীনভাবে নিজের খেলাটা খেলতে দেওয়া যায় তাহলে নিউজিল্যান্ড থেকে ভালো কিছু বয়ে আনবে টাইগাররা।
মাশরাফি আরও বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি খেলোয়াড়ের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিতে হবে। ওরা যদি মন খুলে খেলতে পারে, কোন চাপ না থাকে, তাহলে অবশ্যই ভালো খেলবে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, খেলোয়াড়দের ওপর আমরা অযথা চাপ সৃষ্টি করে দেই। ওই চাপটা কমিয়ে আনতে হবে, ক্রিকেট বোর্ড থেকে, নির্বাচক বলেন বা আমরা দর্শক যারা আছি…। ওদেরকে সমর্থন করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, সমর্থন করলে ওরা ভালো খেলবে।
সবাই জানি নিউজিল্যান্ড কঠিন কন্ডিশন। আমরা যদি এখান থেকে ভালোভাবে সমর্থন দেই। ওই চাপ থেকে যদি ওদের মুক্ত করে দেই, তাহলে আমি নিশ্চিত যে ওরা ভালো খেলতে পারবে। হার-জিত অবশ্যই আছে। আমার বিশ্বাস ওরা ভালো করবে, যদি আমরা চাপটা ওদের ওপর কমিয়ে দেই। যে দল আছে ওখানে, যথেষ্ট সামর্থ্য আছে (জেতার)।”
