জাভি-ইনিয়েস্তা পরবর্তী যুগে বার্সেলোনার মধ্যমাঠ যেন বড্ড অচেনা। এক সময় নিজেদের ম্যাচে মধ্যমাঠে যাদের একচেটিয়া রাজত্ব ছিল, গেল কয়েক বছরে গুরুত্বপূর্ণ এই পজিশনে থিতু হতে পারছে না বার্সেলোনার কোন মিডফিল্ডার। তাই নিজেদের মধ্যমাঠ ঢেলে সাজাতে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থুর মেলোকে ছেড়ে জুভেন্টাস থেকে মিরেলাম পিয়ানিচকে দলে ভেড়ায় কাতালান ক্লাবটি।
বার্সেলোনা এসে এখন নিজের জায়গা পেতেও নাভিশ্বাস উঠছে পিয়ানিচের। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কাতালানদের হয়ে ২০ ম্যাচ খেলেছেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মিডফিল্ডার।

যদিও এখনই আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না পিয়ানিচ। ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরে বার্সার নিয়মিত একাদশে জায়গা নিয়ে লিওনেল মেসির সঙ্গে আরও অনেকদিন খেলতে চান সাবেক ওল্ড লেডি মিডফিল্ডার।
সামনের মৌসুমে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া মেসির দলবদল নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে বার্সেলোনার জার্সিতেই দেখতে চান ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। সম্প্রতি স্প্যানিশ পত্রিকা মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পিয়ানিচ। বার্সা মিডফিল্ডার বলেন,
“তার (মেসি) সঙ্গে আমার সম্পর্ক অসাধারণ। আমাদের অনেক কথা হয়। তিনি আমাকে পরিবেশ সম্পর্কে বুঝিয়ে দেন। শুরু থেকেই তিনি আমার দিকে নজর রাখছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন ও সাহায্য করছেন।”

এসময় মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে পিয়ানিচ আরও যোগ করে বলেন,
“তিনি অসাধারণ। ফুটবলার হিসেবে তার মতো আমরা আর কাউকে দেখব না। আমি জানি না তিনি কী করবেন (বার্সেলোনায় থাকবেন কি-না) তবে আমি আরও অনেক বছর তার পাশে খেলে যেতে চাই।”
২০০৭ সালে ফরাসি ক্লাব এফসি মেইটজের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা মিরালাম পিয়ানিচ লিঁওর হয়ে অসাধারণ ফুটবল খেলে ইউরোপের টপ জায়ান্টদের নজরে পড়েন। যদিও এখন পর্যন্ত নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন ইতালির দুই ক্লাব রোমা ও জুভেন্টাসের হয়ে। সাধারণত, দুর্দান্ত সব ফ্রীকিক নেওয়ার জন্য বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার এই মিডফিল্ডারের বেশ সুনাম রয়েছে।