হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টসটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড সেটাই বলে। এই মাঠে খেলা নিউজিল্যান্ডের ১৩ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে পাওয়ারপ্লেতে ১ টির বেশি উইকেট হারায়নি কখনও। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের টস ভাগ্য কথা বলেনি মাহমুদউল্লাহদের পক্ষে।
সেই পুরোনো কবিতা নতুন করেই লেখা হলো হ্যামিল্টনে। বাজে বোলিং, জঘন্ন-ফিল্ডিং আর নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিং। পুরো সিরিজ জুড়েই জারি থাকলো চেনা এই চিত্র। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে পেসার শরিফুল আর মুস্তাফিজ। এই দুজনেই খরচ করেছেন ৯৮ রান। ২০ ওভারে তাই নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২১০। সাইফুদ্দিনও দিয়েছেন ৪৩ রান। তামিম এই পেস বোলিং নিয়েই স্বপ্ন দেখেছিলেন??.
শুরুটা বাংলাদেশই দুর্দান্ত করেছিল। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদকে প্রথম ওভারে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক রিয়াদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড করে দেন নিউজিল্যান্ডের অভিষিক্ত ফিন অ্যালেনকে (০)। নাসুম আহমেদ অভিষেকে লাইন লেংথ ধরে রেখে ফল পেলেও ছন্নছাড়া বোলিং করেছেন শরিফুল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপটাই যেন ফুটে উঠলে চোখেমুখে।
এই মাঠে ৬০ রানের বেশি অ্যাভারেজে ব্যাট করা মার্টিন গাপটিলকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করার আগে আরও একবার ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন নাসুম। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন গাপটিল (৩৭)। কিন্তু পুরো ইনিংস জুড়েই বিভীষিকা হয়েছিলেন ফর্মের তুঙ্গের ডেভন কনওয়ে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে।
৫৩ রানে ২য় উইকেট পড়ার পর ১০৫ রানের জুটি গড়েন ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থ ব্যাটসম্যান উইল ইয়াং এবং দুর্দান্ত ফর্মের কনওয়ে। দারুণ সব ‘টেক্সট বুক’ শটের পসরা সাজিয়ে বসেন এই দুই ব্যাটসম্যান। বাউন্ডারির উপরে দাড়িয়ে শরিফুল কনওয়ের সহজ ক্যাচ ধরাই ছক্কা পান তিনি। ফলে ৩৭ বলে তুলে অর্ধশতক। অর্ধশতক পান ইয়াংও।
৬০ বলের শতাধিক রানের জুটি ভাঙেন মাহেদি হাসান। ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ইয়াং। তবে অভিষেকে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে শরিফুলের ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করে নিতে পারেননি কোনও উইকেট। যদিও বাংলাদেশের সবাই কমবেশি খরুচে ছিলেন।
শেষের দিকে গ্লেন ফিলিপস আর কনওয়ে জুটি ১৮ বলে ৫০ করলে স্কোর গিয়ে দাড়ায় নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২১০। ৫২ বলে ৯২ আর ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে কনওয়ে এবং ফিলিপস। বাংলাদেশের হয়ে বলহাতে শরিফুলের অর্ধশতকের পরে মুস্তাফিজও খরচ করেছেন ৪৮ রান।
৩ উইকেটের ৩ টিই এসেছে স্পিনারদের থেকে। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের দরকার ২১১ রান।