চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিয়ে যেন রীতিমতো উড়ছিল পিএসজি। ঘরের মাঠে মৌরিচিও পচিত্তিনোর দলকে মাটিতে নামে নঁতে। ফরাসি লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় দলটি।
ফলে ফরাসি কাপে মাঠে নামার আগে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল পচিত্তিনোর বাহিনী। তবে ঘরের মাঠে লিলকে হারাতে খুব বেগ পেতে হয়নি পিএসজির। লিগ ম্যাচে নঁতের কাছে হারা পিএসজি জয়ের ধারায় ফিরে লিলকে হারিয়ে ফরাসি কাপের শেষ আট নিশ্চিত করেছে।
বুধবার রাতে পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বাকি গোলটি করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি।

আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ম্যাচে সমানে লড়াই করে দুদল। বল দখলের লড়াইয়ে পিএসজির ৪৯ শতাংশের বিপরীতে ৫১ শতাংশ ছিল সফরকারীদের দখলে। গোলবার লক্ষ্য করে শটেও স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে ছিল লিল। পিএসজির গোলবারে ১৮টি শটের ৫টি অন টার্গেট শট নিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় ক্রিস্টোফে গালটিয়ের শিষ্যরা। অন্যদিকে লিলের গোলবার লক্ষ্য করে পিএসজির ৫টি শটের ৩টিই জালের দেখা পায়।
শুরু থেকেই লিলের ডিফেন্সে চড়াও হওয়া পিএসজি গোল করতে সময় নেয় মাত্র ৯ মিনিট। মাত্র দুদিন আগেই ভয়াবহ ডাকাতির কবলে পড়া পরিবারকে রেখে খেলতে নামা ডি মারিয়ার ক্রস থেকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন স্বদেশী স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি।
বিরতিতে যাওয়ার আগে দ্বিগুন হয় ব্যবধান। ডান প্রান্ত দিয়ে ডি বক্সে ডুকার পর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে লিলের এক ডিফেন্ডার ফেলে দিলে পেনাল্টির বাশি বাজায় রেফারি৷ সফল স্পটকিকে পিএসজিকে আরও এগিয়ে দেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশকিছু পরিবর্তন এনে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় পচিত্তিনোর দল। তবে উল্লেখযোগ্য কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেননি কেউই। শেষ মুহুর্তে দারুণ এক চিপ শটে লিল গোলরক্ষককে পরাস্ত করে পিএসজির বড় জয় নিশ্চিত করেন এমবাপ্পে। চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে ৩৪ ম্যাচে এই নিয়ে ২৮তম গোল করলেন ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এসময় সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৯ গোল। বুঝাই যাচ্ছে, এবারের ব্যালন ডি’অর রেসে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছেন ফরাসি বিস্ময়বালক !