গত শনিবার রাতে এক ফেসবুক লাইভে সাকিব আল হাসানের করা বেশকিছু মন্তব্য নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন, যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশ হাই-পারফর্মেন্স ইউনিটেও। গতকাল এই ইস্যু নিয়ে বৈঠকেও বসেছিল বোর্ড কর্তারা, যদিও সেখান থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে বৈঠক শেষে বের হয়ে ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়, তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণে তথ্যও হাজির করার ঘোষণা দেন। যেখানে তিনি প্রমাণ করবেন এইচপি দলের সাফল্য কেমন ছিল ও তার কার্যক্রম কি ছিল।
গতকাল বিস্ময় প্রকাশ করে নাঈমুর রহমান দুর্জয় ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি সত্যিই সাকিবের এইচপি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিস্মিত। আমি ভেবেই পাই না, কেন ও কী কারণে সাকিব এইচপি নিয়ে প্রশ্ন তুললো? তার দাবি, এইচপি নাকি প্লেয়ারই সরবরাহ করতে পারেনি। আমার তার কাছে জানতে চাওয়া, সাকিব নিজেই তো এইচপির ক্রিকেটারদের সাথে খেললো।”
এরপর জাগো নিউজের কাছে গত ৪ বছরে জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের উঠে আসার চিত্র তুলে ধরেছেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
তার তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ মৌসুমে সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলি, মেহেদি হাসান মিরাজসহ ১৪ জন, ২০১৮-১৯ এ সাঈফ হাসান, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, সাইফুউদ্দিনসহ ১১ জন, ২০১৯-২০ এ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, হাসান মাহমুদসহ ৮ জন এবং ২০২০-২১ এ শরিফুল ইসলামসহ ৪ জন এইচপি ইউনিট থেকে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে।
এসব তথ্য তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “এতগুলো ক্রিকেটার যেখানে এইচপি খেলে এসেছে, সেখানে এইচপির কার্যকরিতা নিয়ে কথা বলেছে। আমার বোধগম্য হচ্ছে না, এইচপির অনেক প্লেয়ার এখনই জাতীয় দলে আছে। এই তো সেদিন এইচপি আয়ারল্যান্ডের যুবাদের সাথে খুব ভাল খেললো।”