গতকাল (রবিবার) শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্ব। যেখানে সবার উপরে অবস্থান করছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথম পর্বের খেলা শেষ হওয়ায় ইতোমধ্যে হিসাব কষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। প্রিমিয়ার লীগের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই মাঠে বসে দেখেছেন জেমি। শুধু ঢাকা নয়, কখনও কুমিল্লা আবার কখনও টঙ্গিতেও স্টুয়াট ওয়াটকিসকে সাথে নিয়ে দেখা গিয়েছে জেমি ডে কে।
জাতীয় দলের নিয়মিত ফুটবলার থেকে শুরু করে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ফুটবলারদেরও নজরে রেখেছিলেন এই ইংলিশ কোচ। প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্ব শেষে কার পার্ফরমেন্স সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডেইলিস্পোর্টসবিডিকে জেমি ডে দুইটি নাম বলেছেন, তারা হলেন উত্তর বারিধারার সুমন রেজা ও চিটাগাং আবাহনীর রাকিব হোসেন। এছাড়া শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে মোঃ আব্দুল্লাহর পার্ফরমেন্সও কোচ জেমি ডে’র নজরে পড়েছে।
তবে সুমন রেজা ও রাকিব হোসেন যেন একটু আলাদাই জেমি ডে’র কাছে। কি কারণে আলাদা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
“সুমন ও রাকিব প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করেছে। ধারাবাহিকতায় ওদেরকে আলাদা করে দিয়েছে। সুমন রেজা আগের থেকে আরও উন্নতি করেছে। রাকিব আবাহনীর প্রাণ হয়ে উঠেছে।”
লীগের প্রথম পর্বে উত্তর বারিধারার সুমন রেজা ও শেখ রাসেলের আব্দুল্লাহ করেছেন ৫ গোল করে অন্যদিকে রাকিব হোসেন করেছেন তিন গোল।
এদিকে বসুন্ধরা কিংসের লেফট ব্যাক রিমন হোসেন মৌসুমের শুরু থেকেই নজর কাড়া পার্ফরমেন্স করেছেন। গুঞ্জন উঠেছে জাতীয় দলের স্কোয়াডে রিমনকে খুব দ্রুতই দেখা যাবে। জেমি ডে’র কাছে কেমন লেগেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত রিমন ভাল করেছে তবে জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ না হওয়ায় তিন জাতির টুর্নামেন্ট খেলতে নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বাংলাদেশ। নেপালের এই টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের স্কোয়াড কেমন হবে এ ব্যাপারে জেমি ডে বলেন,
“যারা লীগে পার্ফরমেন্স করেছে তারাই স্কোয়াডে সুযোগ পাবে। নেপালের এই টুর্নামেন্ট জয়-পরাজয় তেমন বিষয় না তবে আমি স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে চাই।”
জেমি ডে’র এই মন্তব্যে দারুণ খুশি অনুভব করছেন চিটাগাং আবাহনীর রাকিব হোসেন। সুযোগ পেলে দেশের জন্য সেরাটা দিতে চাই বরিশালের এই ফুটবলার। ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন এই তরুণ ফুটবলার। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নেমে মতিন মিয়ার গোলের অ্যাসিস্টও করেছিলেন তিনি। এরপর নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে বদলি হিসেবেও মাঠে নেমেছিলেন তিনি।