ইয়ন মরগান, এড জয়েস, জোফরা আর্চার, লুক রঙ্কিরা খেলেছেন দুই দেশের হয়ে। এই তালিকার নব সংস্করণ মার্ক চ্যাপম্যান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। অথচ নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা শুরু করেছিলেন হংকংয়ের হয়ে।
২০১৪ সালে হংকয়ের হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে অভিষেক হয় মার্ক চাপম্যানের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল। এই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে হংকং। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম দুর্ঘটনার শিকার হয় এদিন বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরে যায় ২ উইকেটে।
সেই ম্যাচে খেলেছিলেন চ্যাপম্যান। মাহমুদউল্লাহর বলে বোল্ড হবার পূর্বে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান করেছিলেন মাত্র ৫ রান। এর পরে আর কিছুদিন খেলেছিলেন হংকংয়ের হয়ে।
বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলার নেশায় চ্যাপম্যান পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে অকল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরমেন্স চ্যাপম্যানকে এনে দেয় নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ।

চ্যাপম্যান আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। হ্যামিল্টনে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারানো সেই ম্যাচে বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া কেউ নেই এই সিরিজে। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমে অন্যরকম বিন্দুতে মিলিত হলেন মার্ক চ্যাপম্যান আর মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই একমাত্র ক্রিকেটার যাকে আলাদা দুই দলের হয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেন মার্ক চ্যাপম্যান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে নামার সুযোগ হয়নি তার। তবে বল করেছেন এক ওভার। আজ ২য় ম্যাচে ব্যাটহাতে নামলেও ভালো করতে পারেননি৷ ৮ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন মাহেদির বলে।