জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রান তাড়ায় নতুন ইতিহাস গড়েও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি ফখর জামান। একদিনের ক্রিকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৯৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও হারের গ্লানি মাথায় নিতে হয়েছে পাকিস্তান ওপেনারকে।
রবিবার ৩৪২ রানের বড় রান তাড়ায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একাই লড়ছিলেন ফখর জামান। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত পিঙ্ক ওয়ানডেতে আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাকে। ম্যাচের শেষ ওভারের প্রথম বলে দূর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থেমেছেন তিনি। ১৫৫ বলে ১৯৩ রানের অনবদ্য এই ইনিংসে ১৮টি চারের পাশাপাশি ১০টি ছয় মেরেছিলেন ফখর। এই ইনিংস খেলার পর ওয়ানডেতে পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটি এখন ফখর জামানের দখলে।
ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য এর চেয়ে বেশি রান করেও হারের ঘটনা রয়েছে, যেখানে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বুলাওয়েতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৯৪* রানের হার না মানা ইনিংস খেলেও হারতে হয়েছিল জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রিকে, যা ছিল ওয়ানডে তৎকালীন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের রেকর্ড।
সেবার বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফরের চতুর্থ ওয়ানডেতে চার্লস কভেন্ট্রির ১৫৬ বলে অপরাজিত ১৯৪* রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে তামিম ইকবালের ১৩৮ বলে ১৫৪ রানের দূর্দান্ত ইনিংসে ১৩ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে হেরে যাওয়া ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরঃ
- ১৯৪* – চার্লস কভেন্ট্রি (জিম্বাবুয়ে) বিপক্ষ বাংলাদেশ (বুলাওয়ে, ২০০৯)
- ১৯৩ – ফখর জামান (পাকিস্তান) বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা (জোহানেসবার্গ, ২০২১)
- ১৮১*- ম্যাথু হেডেন (অস্ট্রেলিয়া) বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড (হ্যামিল্টন, ২০০৭)
- ১৭৬* – এভিন লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) বিপক্ষ, ইংল্যান্ড (ওভাল, ২০১৭)
- ১৭৫ – শচীন টেন্ডুলকার (ভারত) বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (হায়দ্রাবাদ, ২০০৯)